টেকনাফের নাফ নদীতে এক জালে ধরা পড়েছে ৬০ মণ ইলিশ , যা বিক্রি হয়েছে সাড়ে ১৪ লাখ টাকায়। ধরা পড়া প্রতিটি ইলিশের ওজন ৬০০ থেকে ৮০০ গ্রাম।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় কক্সবাজারের টেকনাফ পৌরসভা সংলগ্ন নাফ নদীতে এ ইলিশ ধরা পড়ে। স্থানীয় জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জালটি ১০০ থেকে ১৫০ ফুট লম্বা ছিল। সাগরে জোয়ার শুরু হলে পাঁচজন মাঝি মিলে নৌকা দিয়ে নাফ নদীতে জালটি ফেলে আসেন। এরপর সন্ধ্যার দিকে ভাটা শুরু হলে জাল তোলার কাজ শুরু হয়। দুই পাশে ১২ জন জেলে কোমরে রশি বেঁধে এ জাল টেনে পাড়ে তোলেন। সেখান থেকে বিভিন্ন বাহনে মাছ ফিশারি ঘাটে নিয়েছেন তাঁরা।
হাকিম ফিশারির পরিচালক মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন জানান, টেকনাফ পৌরসভার জালিয়া পাড়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ ওসমানের ছেলে মোহাম্মদ ইমান হোসেনের মালিকানাধীন টানা জাল নদীতে ফেলা হয় দুপুরে। সন্ধ্যায় জাল উঠানোর সময় ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ মাছ পান তারা। পরে মাছগুলো কায়ুকখালী এলাকায় হাকিম ফিশারিতে আনা হয়।
স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী আব্দুর রশীদ বলেন, ইমানের মালিকানাধীন টানা জালে ধরা ইলিশ গুলো ফিশারিতে আনার পর প্রতি কেজি ৬০০ টাকা দরে বিক্রি করা হয়। প্রতি মণ মাছের দাম ধরা হয় ২৪ হাজার টাকা, এতে মোট ৬০ মণ ইলিশের দাম দাঁড়ায় প্রায় সাড়ে ১৪ লাখ টাকা।
তিনি আরও জানান, মাছগুলো বরফে সংরক্ষণ করে বুধবার সকালে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে পাঠানো হবে। আশা করছি মাছগুলো ভালো দামে বিক্রি করতে পারব।
টেকনাফ উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, ২৫ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে নাফনদী ও সাগরে ২২ দিনের ইলিশ প্রজনন মৌসুমে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা নদী ও সাগরে নামলে অনেকের জালে বিপুল পরিমাণ মাছ ধরা পড়ে। এতে জেলেদের মধ্যে আনন্দের বন্যা বইছে।



সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন