সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


পিরোজপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৫, ১১:২৪ পিএম

পিরোজপুরে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে ৭ জনকে যাবজ্জীবন

পিরোজপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৫, ১১:২৪ পিএম

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে উপস্থিত থাকা সাফায়েত শরীফ ও হেপী বেগমকে কারাগারে নেওয়া হয়। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে উপস্থিত থাকা সাফায়েত শরীফ ও হেপী বেগমকে কারাগারে নেওয়া হয়। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

পিরোজপুর সদর উপজেলার ঝনঝনিয়া এলাকায় এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১ জনকে ২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ মো. মজিবুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় দুই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন, বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছেন।

কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন: এজাজ শরীফ (২৭), আক্কাস শরীফ (৫২), সাফায়েত শরীফ (৫২), শেফালী বেগম (৪৫), হেপী বেগম (২৮), লিমা বেগম (২০) এবং ২ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এমরান (২৮)। তারা সবাই সদর উপজেলার ঝনঝনিয়া এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা।

মামলার বিবরণে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জেরে ২০১৪ সালের ১০ জুলাই রাতে ব্যবসায়ী আবুল কালাম শরীফ (৫৫) আসামিদের বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় ওঁৎ পেতে থাকা আসামিরা একত্রিত হয়ে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।

পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে এবং সেখান থেকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পরদিন নিহতের ভাই হাকিম শরীফ পিরোজপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মো. ওয়াহিদ হাসান বাবু জানান, আদালত ৬ জন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। এ ছাড়া এমরান নামের একজনকে ২ বছরের কারাদণ্ড ও ২ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মোট ১১ জন আসামির মধ্যে দুই জন শিশু হওয়ায় তাদের বিচার শিশু আদালতে পাঠানো হয়েছে। একজন আসামি মৃত্যুবরণ করেছেন এবং একজনকে আদালত বেকসুর খালাস দিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে সাক্ষ্য-প্রমাণ পর্যালোচনা শেষে আদালত এ রায় প্রদান করেন।

রায় ঘোষণার সময় আসামি সাফায়েত শরীফ ও হেপী বেগম আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

Link copied!