আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে সাতক্ষীরায় র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসন ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো সাতক্ষীরার আয়োজনে জেলার কালেক্টরেট চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ-এর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিষ্ণুপদ পাল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) রিপন বিশ্বাস, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শাহিনুর চৌধুরী এবং সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ এম. আবুল হাশেম।
উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো সাতক্ষীরার সহকারী পরিচালক শাহরিয়ার নাঈম শাইখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মুহ. আবুল খায়ের, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হোসনে ইয়াসমিন কারিমী, সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আলাউদ্দিন, সাস-এর নির্বাহী পরিচালক ইমান আলী, নবারুণ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেক, সাতক্ষীরা জেলা কারাগারের কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম মনিরসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষায় কাজ করা এনজিও প্রতিনিধিরা।
জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ বলেন, ‘মাধ্যমিক পর্যায়ের একজন শিক্ষার্থী একজন করে নিরক্ষর ব্যক্তিকে সাক্ষরজ্ঞান প্রদান করলে দেশে শতভাগ সাক্ষরতা অর্জন সম্ভব।’
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার মানোন্নয়নে এখন থেকে প্রতি ক্লাসে উপস্থিতি নেবেন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চলাকালীন সময়ে প্রতিষ্ঠানের গেটে তালা দিয়ে রাখবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কীভাবে পরিচালনা করবেন, সেটা আপনারাই ঠিক করবেন। শিক্ষকরা বাসায় বা অন্য কোথাও কোচিং করালে প্রশাসন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবে। শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠানগুলিতে সিগারেট খাওয়ার বিষয়েও পদক্ষেপ নিতে হবে।’
কোচিং বাণিজ্য বন্ধ করা প্রসঙ্গে অভিভাবকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘কোচিং এখন ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে, এটি থেকে আপনাদের বেরিয়ে আসতে হবে।’
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন