প্রতিষ্ঠার পর এই প্রথম চাঁদপুর মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশ ও উদ্ভাবনী চিন্তা তুলে ধরতে দুই দিনব্যাপী বৈজ্ঞানিক সম্মেলন ও বিজ্ঞান মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতাল ভবনের ছাদে আয়োজিত মেলায় বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে। দলভিত্তিক শিক্ষার্থীরা তাদের উদ্ভাবনী প্রজেক্ট প্রদর্শন ও ব্যাখ্যা করেন।
মেলায় ২১টি স্টলে শিক্ষার্থীরা নানা বিষয়ে প্রেজেন্টেশন দেন। শিক্ষকরা প্রতিটি স্টল পরিদর্শন করে শিক্ষার্থীদের উপস্থাপনা শোনেন এবং মূল্যায়ন করেন। মূল্যায়ন কার্যক্রমে মেডিকেল কলেজের শিক্ষক ও চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকরা অংশ নেন।
তৃতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থী রবিউল হাসান বলেন, ‘আমাদের প্রেজেন্টেশন নবজাতকের জন্মের পর শ্বাস-প্রশ্বাস সংক্রান্ত সমস্যার দ্রুত সমাধান নিয়ে। কীভাবে সহজ উপায়ে নবজাতককে এই বিপদ থেকে রক্ষা করা যায় তা তুলে ধরা হয়েছে।’
চতুর্থ ব্যাচের শিক্ষার্থী সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের গবেষণার বিষয় ছিল মোবাইল ব্যবহারকারীদের মানসিক প্রভাব। যারা মোবাইল ব্যবহার করে না এবং যারা ব্যবহার করে তাদের মধ্যে পার্থক্য, সমস্যার ধরন ও সমাধান তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি ব্যবহারকারীদের বয়সভিত্তিক তথ্যও দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে।’
তৃতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থী সাদিয়া জাহান বলেন, ‘হঠাৎ কেউ অজ্ঞান হয়ে পড়লে কীভাবে প্রাথমিক সহায়তা দিতে হয়, সাধারণ মানুষ কীভাবে পদক্ষেপ নিলে রোগীকে বাঁচানো সম্ভব, তা সহজভাবে তুলে ধরেছি।’
ষষ্ঠ ব্যাচের শিক্ষার্থী শাহিন আক্তার বলেন, ‘সরকারি মেডিকেলে এই প্রথম এমন আয়োজন হলো। এর মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন বিষয়ে নতুন ধারণা পেয়েছি।’
চতুর্থ ব্যাচের মুমিতা জাহান বলেন, ‘অ্যাকাডেমিক পড়াশোনার বাইরে এমন আয়োজন আমাদের জন্য একধরনের বিনোদন এবং শেখার দারুণ সুযোগ এনে দিয়েছে। সময়টা খুব উপভোগ করেছি।’
মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. হারুন অর রশিদ বলেন, ‘সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও আমাদের শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশ ও জ্ঞানচর্চাকে উৎসাহিত করতেই এই বৈজ্ঞানিক সম্মেলন ও বিজ্ঞান মেলার আয়োজন। শিক্ষকরা প্রতিটি স্টল মূল্যায়ন করছেন এবং বিজয়ীদের পুরস্কার ও সনদ প্রদান করা হবে।’
তিনি আরও জানান, ‘এ কলেজের প্রথম ব্যাচের দুই জন শিক্ষার্থী ইতোমধ্যে বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়ে চাকরিতে যোগ দিয়েছেন। খুব শিগগিরই মূল ক্যাম্পাসের কাজ শুরু হবে এবং শিক্ষার্থীরা নিজস্ব ক্যাম্পাসে পড়াশোনার সুযোগ পাবে।’
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন