সিংগাইরে পুনর্বাসিত হলো ৭ ভিক্ষুক

মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের অর্থায়নে ভিক্ষুক পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান কার্যক্রমের আওতায় ৭ জন ভিক্ষুককে পুনর্বাসন করা হয়েছে।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় সিংগাইরের ধল্লা ইউনিয়নের ভূমিদক্ষিণ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী।

পুনর্বাসিত ভিক্ষুকরা হলেন- উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের ভুমদক্ষিন গ্রামের সালেহা বেগম, জয়মন্টপ ইউনিয়নের পূর্ব ভাকুম গ্রামের গোনাই বিবি, সিংগাইর পৌরসভার নয়াডাঙ্গি গ্রামের ফাতেমা বেগম, চান্দহর ইউনিয়নের পাড়াগ্রাম গ্রামের মোমেনা, চারিগ্রাম ইউনিয়নের দক্ষিণ জাইল্যা গ্রামের সজল মিয়া, বলধারা ইউনিয়নের বড়বাকা গ্রামের আজমত আলী ও জামশা ইউনিয়নের উত্তর জামশা গ্রামের সমসের আলী। এদের মধ্যে পাঁচজনকে চা ও পানের দোকান, একজনকে গবাদিপশুর খাদ্যের দোকান ও অপর একজনকে একটি অটোরিকশা প্রদান করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন- ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, ভিক্ষাবৃত্তি একটি অসম্মানজনক পেশা। সমাজ এটি ভালো দৃষ্টিতে দেখে না। রাষ্ট্রের জন্যও এটি ইতিবাচক বার্তা নয়।

তবে মানুষ নানা কারণে এই পেশায় আসে। ভিক্ষুক পুনর্বাসন কার্যক্রমের মাধ্যমে তারা সম্মানজনক পেশায় যুক্ত হয়ে আত্মনির্ভরশীল হতে পারবেন। তিনি আরো জানান, পর্যায়ক্রমে দেশের সব ভিক্ষুককে পুনর্বাসন করা হবে।

উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. মঞ্জুরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা ও সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুল হাসান সোহাগ।

রূপালী বাংলাদেশে সংবাদ প্রকাশের পর বালুমহালে অভিযান

বিস্তারিত পড়ুন

এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আলী, জেলা সমাজসেবা অফিসের উপপরিচালক মো. আব্দুল বাতেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. হাবেল উদ্দিন, উপজেলা কৃষি অফিসার মো. হাবিবুল বাসার চৌধুরী, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এবিএম আব্দুল হান্নান ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আহাদী হোসেনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।