মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৫, ০৬:২৪ পিএম

পালিত ছেলের সম্পত্তি আত্মসাৎ করতে বিধবার নামে মামলা 

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৫, ০৬:২৪ পিএম

লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শাহ আলমের বিধবা স্ত্রী হালিমা আক্তার। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শাহ আলমের বিধবা স্ত্রী হালিমা আক্তার। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে সম্পত্তি আত্মসাৎ করার জন্য মৃত শাহ আলমের পালিত পিতা সিরাজ মিয়া নিজেকে জন্মদাতা পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সম্পত্তি আত্মসাৎ করতেই তিনি শাহ আলমের বিধবা স্ত্রী হালিমা আক্তারের নামে মামলা করেছেন।

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে হালিমা জেলা প্রশাসকের কাছে সিরাজের নামে লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযুক্ত সিরাজ সদর উপজেলার চরশাহী ইউনিয়নের ছোট ভল্লবপুর গ্রামের ছেলামত উল্যাহর ছেলে। ভুক্তভোগী হালিমা তার পালিত ছেলে মৃত শাহ আলমের স্ত্রী।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শাহ আলম রায়পুরের কেরোয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ কেরোয়া গ্রামের আব্বাছ উদ্দিন ও শাহিদা বেগমের ছেলে। শাহ আলমের জন্মের পর আব্বাছ ও শাহিদার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।

এরপর শাহিদা দ্বিতীয় বিয়ে করেন সিরাজের সঙ্গে, যিনি সদরের ছোট ভল্লবপুর গ্রামের। শাহ আলমের পিতা ২০০০ সালের ২০ মার্চ মারা যান। এর ফলে জাতীয় পরিচয়পত্রসহ সকল কাগজপত্রে শাহ আলমের বাবার নামের জায়গায় সিরাজের নাম দেওয়া হয়।

২০২৩ সালের ১৬ নভেম্বর শাহ আলম মারা যান। এখন জাতীয় পরিচয়পত্রে বাবার নামের স্থলে সিরাজের নাম থাকায় তিনি শাহ আলমের সম্পত্তি আত্মসাতের চেষ্টা করছেন। একই কারণে সিরাজ হালিমার নামে পারিবারিক আদালতে মামলা করেছেন।

হালিমা অভিযোগ করে বলেন, ‘সিরাজ আমার স্বামীর পালিত বাবা, সে সূত্রে তার কোনো সম্পত্তি পাওয়ার অধিকার নেই। কিন্তু জাতীয় পরিচয়পত্রের ভিত্তিতে নিজেকে জন্মদাতা দাবি করে আমার স্বামীর সম্পত্তি আত্মসাতের চেষ্টা করছেন।’

তিনি আরও অভিযোগ করেন, ‘আমাকে মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন। সিরাজ যে শাহ আলমের পালিত পিতা সে বিষয়ে চরশাহী ইউনিয়ন পরিষদ ও কেরোয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের প্রত্যয়নপত্রসহ সকল প্রমাণাদি রয়েছে।’

অভিযোগের বিষয়ে সিরাজ মিয়ার মোবাইলে একাধিকবার কল এবং বার্তা পাঠানো হলেও তিনি সাড়া দেননি।

লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) রাজীব কুমার সরকার জানান, লিখিত অভিযোগ এখানে এখনো পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

Link copied!