বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


দুর্গাপুর (রাজশাহী) প্রতিনিধি 

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৫, ০৬:২৯ পিএম

দুর্গাপুরে নিয়োগ জালিয়াতির অভিযোগ, বেতন স্থগিতের আবেদন

দুর্গাপুর (রাজশাহী) প্রতিনিধি 

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৫, ০৬:২৯ পিএম

কাঁচুপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়, দুর্গাপুর। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

কাঁচুপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়, দুর্গাপুর। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার কাঁচুপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার আবেদন করা হয়েছে। শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় নথিপত্রে গুরুতর অনিয়ম, স্বাক্ষর জালিয়াতি ও অসত্য তথ্য প্রদানসহ বেশ কয়েকটি কারণ উল্লেখ করে বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষক শহীদুল ইসলাম এই আবেদন করেন।

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা রাজশাহী অঞ্চলের উপ-পরিচালক, জেলা শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত আবেদন দাখিল করেন তিনি।

লিখিত আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, প্রতিষ্ঠানটির কথিত প্রধান শিক্ষক আফজাল হোসেনসহ কয়েকজন সহকারী শিক্ষক ও কর্মচারীর নিয়োগ প্রক্রিয়ায় গুরুতর অনিয়ম, স্বাক্ষর জালিয়াতি ও ভুয়া তথ্য প্রদানের ঘটনা ঘটেছে। নিয়োগপত্র, যোগদানপত্র এবং চূড়ান্ত ফলাফলের নথি জালিয়াতির মাধ্যমে একাধিকবার এমপিওভুক্তির আবেদন করা হয়েছে, যা প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ও রাষ্ট্রীয় অর্থ ব্যবস্থাপনার জন্য হুমকি হতে পারে।

নিয়োগের বৈধতা, আদালতে মামলা বিচারাধীন থাকা, আদালতের সাম্প্রতিক নির্দেশনায় কোনো পক্ষের অনুকূলে চূড়ান্ত আদেশ না দেওয়াসহ মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বেতন-ভাতা প্রদান রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয় ও জটিলতা তৈরি করতে পারে বলেও আবেদনে উল্লেখ করা হয়।

প্রধান শিক্ষক শহীদুল ইসলাম লিখিত আবেদনে দাবি করেন, মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি বা নিরপেক্ষ তদন্ত সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত প্রধান শিক্ষক ব্যতীত অন্যান্য সহকারী শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা স্থগিত রাখা প্রয়োজন।

অভিযোগ প্রসঙ্গে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দুলাল আলমের মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি কল রিসিভ করে লিখিত আবেদনের বিষয়টি শুনলেও কোনো মন্তব্য না করে মুঠোফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। পরে একাধিকবার কল করা হলেও তিন আর কল রিসিভ করেননি।

২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় কাঁচুপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়। বর্তমানে ওই বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান কার্যক্রম চালু রয়েছে। অভিযোগ আছে, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার যোগসাজশেই ওই বিদ্যালয়ে বিভিন্ন সময় জাল কাগজপত্র ব্যবহার করে শিক্ষক নিয়োগ ও বেতন-ভাতার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা রাজশাহী অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক মোহা. আব্দুর রশিদ বলেন, ‘আমি একটি তদন্তের কাজে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় অবস্থান করছি। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমাকে ফোন করেছিলেন। আমি তাকে আগামীকালকে (বৃহস্পতিবার) আমার অফিসে আসতে বলেছি। অফিসে গিয়ে অভিযোগপত্রটি দেখে বিস্তারিত জানাতে পারব।’

Link copied!