আল আরাফাহ নার্সিং হোম অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গত ১৭ সেপ্টেম্বর সিজারিয়ান অপারেশনের সময় এক নারীর মূত্রথলি ও নাড়ি কেটে ফেলার ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগী স্বপ্না খাতুন (২৫) বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় যশোরের একটি হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।
ঝিনাইদাহ জেলার মহেশপুরের ঘুঘরি বাজারে আল আরাফাহ নার্সিং হোম অবস্থিত। এ ছাড়াও চট্টগ্রামের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভুল চিকিৎসার শিকার এক রোগীকে স্বজনদের না জানিয়ে অন্যত্র স্থানান্তর করার অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে রোগী সংকটাপন্ন অবস্থায় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
দেশজুড়ে এ ধরনের ভয়াবহ ঘটনার মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কার্যকর তদারকির অভাব। বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে অনুমোদন ও লাইসেন্স দেওয়ার দায়িত্ব স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হলেও, লাইসেন্স প্রদান-পরবর্তী সময়ে যথাযথ মনিটরিং হয় না। একইভাবে নিবন্ধিত এমবিবিএস ডাক্তারদের সার্টিফিকেট প্রদান করে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (BM&DC)। কিন্তু অনেক ভুয়া চিকিৎসক এই সনদের তোয়াক্কা না করেই বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছে।
শুক্রবার এক লিখিত বিবৃতিতে নিরাপদ হাসপাতাল চাই (নিহাচ) জানায়, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, সারাদেশে ভুয়া চিকিৎসক ও অদক্ষ সেবাদানকারীদের কারণে মানুষ আজ জীবন নিয়ে চরম ঝুঁকিতে রয়েছে।
নিহাচের সাধারণ সম্পাদক শুভ্র বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন না করায় একের পর এক ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটছে। আমরা অবিলম্বে প্রতিটি বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার কঠোরভাবে তদারকির দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি ভুয়া চিকিৎসক ও অবৈধ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। মানুষের জীবন নিয়ে আর কোনরকম ছেলেখেলা চলতে দেওয়া যায় না।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন