সাতক্ষীরার সদর উপজেলার ২০১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৪১টিতে দীর্ঘ দিন ধরে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত শিক্ষকের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এতে পাঠদান কার্যক্রমে ব্যাঘাত দেখা দিচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রধান শিক্ষকের পাশাপাশি ২০টি বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের পদও শূন্য রয়েছে। প্রধান শিক্ষক না থাকায় সিনিয়র সহকারী শিক্ষকদের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে।
অভিভাবকরা বলছেন, প্রাথমিক শিক্ষার মনোনয়নে প্রধান শিক্ষকের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। জাতীয় উন্নয়নে প্রাথমিক শিক্ষার প্রভাব সুগভীর এবং এটি টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার অন্যতম প্রধান দায়িত্ব পালন করেন প্রধান শিক্ষক। এ বিবেচনায়, প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে চলমান কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করার পাশাপাশি শিশু শিক্ষার্থীদের পাঠদান, মানবিক ও নৈতিক শিক্ষা, বিদ্যালয়ে উপস্থিতি, শরীরচর্চা, খেলাধুলা এবং শ্রেণি শিক্ষকদের পাঠদানে উদ্বুদ্ধকরণসহ প্রাথমিক শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন ও নজরদারের দায়িত্ব প্রধান শিক্ষকের। কিন্তু দীর্ঘদিন প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য থাকায় বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। এতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছেন অভিভাবকরা।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান জানান, ‘সদর উপজেলার ২০১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৪১টিতে দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সদর উপজেলার ২০১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩২ হাজার কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছে। এসব শিশু প্রাথমিক ধাপেই প্রযুক্তি ব্যবহারে অভ্যস্ত হওয়া উচিত। কিন্তু দেশের অন্যান্য বিভাগ ও জেলা শহরের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষাদানে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়, ল্যাপটপ, মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর, ইন্টারনেটসহ সাউন্ড-সিস্টেম সরবরাহ করে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম চালু থাকলেও সাতক্ষীরার শহর ও গ্রামীণ অঞ্চলের শিশুরা এ সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তবে বিদ্যালয়গুলোতে পর্যায়ক্রমে প্রযুক্তি উপকরণ চলে আসবে। ফলে সুবিধাবঞ্চিত শিশুরাও প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাবে।’
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন