নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে জমি দখলকে কেন্দ্র করে রক্তাক্ত ও সংঘাতের আশঙ্কায় রয়েছে মো. হোসেন আলী (৪৫) ও তার পরিবার। তিনি এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, হোসেন আলীর সহোদর ভাই সুরুজ মিয়া (৭০) ও ভাতিজা মুকবুল হোসেন (৪৫) এবং জাহাঙ্গীর (৩৮) দীর্ঘদিন ধরে তাদের পৈতৃক সম্পত্তি দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার মীমাংসার উদ্যোগ নেওয়া হলেও আসামিরা তা অমান্য করে নানা হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছে। এ ঘটনার সর্বশেষ ঘটে গত ২৩ আগস্ট।
অভিযোগকারী হোসেন আলীর দাবি, সেদিন উল্লিখিত তিন আসামিসহ আরও ৩-৪ জন অজ্ঞাত সহযোগীকে নিয়ে দা, কুড়াল, চাপাতি, লোহার রড ও লাঠিসোটাসহ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তার ভোগ-দখলীয় জমিতে প্রবেশ করে জোরপূর্বক টিনের ঘর তুলতে শুরু করে। বাধা দিতে গেলে তারা হোসেন আলী ও তার ভাইদের প্রাণনাশের হুমকি দেয় এবং পুনরায় জমি দখলের ঘোষণা দিয়ে চলে যায়।
ওই জমি চরগোবিন্দপুর মৌজার আর.এস দাগ নং ৬৯৭, মোট ২৭ শতাংশ নাল জমি যা হোসেন আলী ও তার ভাইদের পৈতৃক সম্পত্তি বলে দাবি করেন ভুক্তভোগী।
ভুক্তভোগী হোসেন আলী বলেন, আমরা পৈতৃক সূত্রে এই জমির মালিক ও ভোগদখলকারী। কিন্তু আমার ভাই-ভাতিজারা আমাদের সম্পত্তি জবরদখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এখন তারা আমাদের খুন করার হুমকি দিচ্ছে, আমরা চরম ভয় ও আতঙ্কে আছি।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত মকবুলকে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন দিলেও রিসিভ না করায় তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এই জমিসংক্রান্ত বিরোধ বহুদিন ধরে চলমান, কিন্তু সম্প্রতি ঘটনাটি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। গ্রামবাসীর আশঙ্কা, প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটতে পারে।
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রাশেদুল হাসান খানের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান ‘অভিযোগটি পেয়েছি, বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা প্রশাসনের কাছে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন, যাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায়।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন