বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৩, ২০২৫, ০২:০৭ পিএম

ইট দিয়ে থেঁতলে যুবককে হত্যার ভিডিও ভাইরাল, গ্রেপ্তার ৩

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৩, ২০২৫, ০২:০৭ পিএম

যুবককে তুলে নিয়ে ইট দিয়ে থেঁতলে হত্যার একটি ভিডিও ভাইরাল।     ছবি - সংগৃহীত

যুবককে তুলে নিয়ে ইট দিয়ে থেঁতলে হত্যার একটি ভিডিও ভাইরাল। ছবি - সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে এক যুবককে তুলে নিয়ে ইট দিয়ে থেঁতলে হত্যার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার (২২ অক্টোবর) রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে অন্য আসামিদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ নাছির।

নিহতের নাম আবু হানিফ (৩০)। তিনি নারায়ণগঞ্জের খানপুর এলাকায় এক বাড়ির নৈশপ্রহরী হিসেবে কাজ করতেন। তার গ্রামের বাড়ি বাগেরহাটের শরণখোলায়। স্ত্রী ও তিন সন্তান রয়েছে তাঁর।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-কুমিল্লার মুরাদনগরের ফরচান মিয়ার ছেলে বাহার (৩৬), তার ভাই সাইদুল ইসলাম (২৫) এবং নারায়ণগঞ্জ শহরের মেট্রোহল এলাকার শফিকুর রহমানের ছেলে মুশফিকুর রহমান জিতু (২৯)।

৬৫ সেকেন্ডের ভাইরাল ভিডিওটিতে দেখা যায়, একটি খোলা মাঠে কয়েকজন যুবক হানিফকে মাটিতে ফেলে বারবার ইট দিয়ে আঘাত করছে। অন্তত পাঁচ থেকে সাতজনের দলটি দফায় দফায় পিটিয়ে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত সোমবার দুপুরে খানপুর জোড়া ট্যাংকি মাঠে এই ঘটনা ঘটে। এক শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে স্থানীয় কয়েকজন যুবক হানিফকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন চালান। পরে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় রাস্তায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায় তারা। স্থানীয়রা উদ্ধার করে খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক হানিফকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের বোন রাবেয়া বেগম বলেন, দুপুরে ভাই বাসায় শুয়ে ছিল। কয়েকজন এসে কিছু না বলেই মারতে মারতে নিয়ে গেল। পরে শুনি, নাকি কারও বাচ্চাকে ধর্ষণ করতে চেয়েছে-কিন্তু কে, কবে, কিছুই জানি না।

ভগ্নিপতি মো. ইব্রাহিম বলেন, আমি ডিউটিতে ছিলাম, ফোনে জানানো হয় বাসায় ঝামেলা হচ্ছে। ফিরে এসে দেখি ছেলেরা হানিফকে ধরে নিয়ে গেছে। সন্ধ্যায় শুনি হাসপাতালে ভর্তি-তখনই বুঝি সব শেষ।

ওসি মোহাম্মদ নাছির বলেন, ভিডিও ফুটেজ দেখে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!