শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৪, ২০২৫, ০৪:১৭ পিএম

বেপরোয়া বালু উত্তোলনে মনু নদের বাঁধে ভাঙন

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৪, ২০২৫, ০৪:১৭ পিএম

বেপরোয়া বালু উত্তোলনে মনু নদের বাঁধে ভাঙন। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

বেপরোয়া বালু উত্তোলনে মনু নদের বাঁধে ভাঙন। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

মৌলভীবাজারের মনু নদের তীর রক্ষা, বেড়িবাঁধ সংস্কার, চরকাটিংসহ বিভিন্ন প্রকল্প দিয়ে হাজার কোটি টাকার প্রকল্প সাজিয়েছিল বিগত সরকার। ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়ার পর কয়েক ধাপে ৫ বছর থেকে এসব প্রকল্প বাস্থবায়ন করা হচ্ছে। কিন্তু কাজ চলমান থাকাকালেই আকস্মিক ধসে পড়েছে নদের তীরের বাঁধ। উপজেলার টেংরা ইউনিয়নের গণেশপুর এলাকায় এ ভাঙন দেখা দেয়। এতে হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের সফলতা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছেন স্থানীয়রা।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ফাতেমা তুজ জাহরা, পানি উন্নয় বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. খালিদ বিন ওয়ালিদ ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মৌলভীবাজারে মনু নদের তীর রক্ষা, বেড়িবাঁধ সংস্কার, চরকাটিংসহ বিভিন্ন প্রকল্প দিয়ে হাজার কোটি টাকার প্রকল্প পাস করেছিল বিগত সরকার। ২০২১ সালে ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়ার পর শুরু হয় কাজ। বিগত ৫ বছর থেকে ওই প্রকল্পগুলোর কাজ চলমান রয়েছে। ৫৯ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছে মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড। এদিকে ওই প্রকল্প এলাকায় বুধবার ২২ অক্টোবর রাত ৯টার দিকে টেংরা ইউনয়িনের গণেশপুর এলাকায় বিকট আওয়াজ পেয়ে এলাকাবাসী ঘর থেকে বের হন। তারা নদের কাছে গিয়ে দেখেন বাঁধের কিছু অংশ ধসে পড়েছে। আকস্মিক ধসে পড়ায় মানুষজনের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, এই নদ থেকে অধিক পরিমাণে বালু উত্তোলনের কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা তাজুদ মিয়া বলেন, ‘আমরা এই নদের পাড়ে বসবাস করি। আমার একটি বাড়ি এই নদ নিয়ে গেছে, এখন আরেকটি বাড়ি বিলীন হওয়ার পথে। বাঁধে ধস দেখা দিয়েছে।’

অরেক বাসিন্দা রুহেল মিয়া বলেন, ‘বাঁধে ভাঙন বৃদ্ধির শঙ্কায় আমি রাত থেকে আতঙ্কে আছি। যেকোনো সময় এই ভাঙন বাড়তে পারে।’

পানি উন্নয় বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. খালিদ বিন ওয়ালিদ বলেন, ‘আমি ভাঙন এলাকা দেখেছি। ভাঙনের অপরদিকে চর দেখা দিয়েছে। এতে নিচের মাটি সরে যাওয়ায় এখানে দেবে গেছে।’ তিনি আরও বলেন, মনু নদের হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের ৫৯ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। কাজ চলমান। বালু আরও নিচের দিকে তোলা হচ্ছে। এতে এখানে প্রভাব পড়ছে না। নদের স্রোতের চাপ এদিকে থাকায় নিচে গর্ত হয়ে গিয়েছে। এটা ভরে দিয়ে কাজ করতে হবে। এই ভাঙনরোধে ব্লক বা জিও ব্যাগ দিয়ে মেরামতের জন্য বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও ঠিকাদার কাজ করে দেবে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!