“আমি পূর্বে আওয়ামী লীগ করতাম, এখন জামায়াতে যোগদান করেছি। বয়স কম হয়নি। এখন আমার বয়স সত্তর। তাই শেষ জীবনে একটা ইসলামি দলের সঙ্গে থেকে মরতে চাই।”
এমন মন্তব্য করেছেন পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার গুয়ারেখা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল লতিফ ওরফে লতিফ সেক্রেটারি। শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) রাতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
আব্দুল লতিফ বলেন, আওয়ামী লীগ এখন চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের দলে পরিণত হয়েছে। তাই আমি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দিয়েছি। এখানে চাঁদাবাজি নেই, সন্ত্রাস নেই। এখন থেকে আমি আল্লাহর রাস্তায় চলতে চাই। প্রতিদিন কত রাকাত নামাজ পড়লাম, কতটা কুরআন-হাদিস পড়লাম, এর হিসাব রাখতে হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গুয়ারেখা ইউনিয়নটি মূলত হিন্দু অধ্যুষিত এলাকা এবং ঐতিহ্যগতভাবে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এ ইউনিয়নের কয়েকজন প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী জামায়াতমনা হয়ে উঠছেন।
গুয়ারেখা ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি মো. মহিব্বুল্লাহ বলেন, আমাদের ইউনিয়নে জামায়াতের অবস্থান দিন দিন শক্তিশালী হচ্ছে। অনেকে আমাদের দলে যোগ দিতে আগ্রহী, তবে যাচাই-বাছাইয়ের পরই সদস্যপদ দেওয়া হয়। হিন্দু অধ্যুষিত এলাকা হলেও অনেক সম্ভ্রান্ত হিন্দু নাগরিকও আমাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হচ্ছেন।
তিনি আরো জানান, আব্দুল লতিফ সেক্রেটারি আমাদের দলের প্রাথমিক সদস্যপদ ফরম পূরণ করেছেন। এছাড়া নিরঞ্জন হালদার নামে এক স্কুল শিক্ষকও সম্প্রতি আমাদের দলে এসেছেন। শীঘ্রই তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে সদস্য করা হবে।
স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির হঠাৎ জামায়াতে যোগদানের বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।


সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন