জামালপুরের মাদারগঞ্জে ঝিনাই নদীতে গোসল করতে নেমে ৩ শিশুর মৃত্যু ও ২ শিশু নিখোঁজের ঘটনার ১৮ ঘন্টা পর কুলসুম (৮) নামে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। এ ঘটনায় সহোদর ভাই-বোন সহ ৪ শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হলো। কুলসুম চর ভাটিয়ানি আমতলী গ্রামের আজাদ মিয়ার মেয়ে।
তবে এখনো নিখোঁজ রয়েছে বৈশাখী (১০) নামের আরেক শিশু। শনিবার সকাল এগারোটার দিকে সিধুলী ইউনিয়নের ঝিনাই নদী থেকে পানিতে ডুবন্ত অবস্থায় ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মাদারগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের ওয়ারহাউজ ইন্সপেক্টর মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, গতকাল ৩ শিশুর মরদেহ উদ্ধারের পর নিখোঁজ আরও ২ শিশুকে উদ্ধার করতে দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধার কাজ শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। প্রায় ২ ঘন্টা চেষ্টার পর
শনিবার সকাল এগারোটার দিকে আরেক কণ্যা শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি এক শিশুরও সন্ধান চলমান আছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার বিকেলে ঝিনাই নদীতে ৬ শিশু একসঙ্গে গোসল করতে যায়। তাদের মধ্যে ইয়াসিন নামের এক শিশু সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও অপর ৫ শিশু নদীতে ডুবে যায়। পরে শ্যামগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সহযোগিতায় ফায়ার সার্ভিস ও ডুবুরি দলের সদস্যরা তাদের খুঁজতে উদ্ধার অভিযান চালায়।
অভিযানের এক পর্যায়ে মাদারগঞ্জের চর ভাটিয়ানি মধ্যপাড়া গ্রামের দুদু মিয়ার দুই সন্তান পলি আক্তার (১২) ও আবু হোসেন (০৮) সহ সরিষাবাড়ী উপজেলার বাউশী গ্রামের নূর ইসলামের মেয়ে সায়েবা আক্তার (০৮) এর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
৫ শিশুর মধ্যে চর ভাটিয়ানি আমতলী গ্রামের আজাদ মিয়ার মেয়ে কুলসুম (৮) ও অপরশিশু বৈশাখী (১০) নিখোঁজ থাকে এবং সন্ধ্যা নেমে পড়ায় ওই দিনের মতো উদ্ধার কাজ সমাপ্তি করেন ফায়ার সার্ভিস।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন