যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের করোনা কেয়ার ইউনিটের সামনে স্থাপিত ৬ হাজার লিটার ক্ষমতাসম্পন্ন হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলার তরল অক্সিজেন ট্যাংকের পাশে সতর্কতামূলক বিলবোর্ড লাগানো হয়েছে। বিলবোর্ডে লেখা আছে- ‘সাবধান, তীব্র দাহ্য পদার্থ। আশপাশে চলাচল ও ধূমপান সম্পূর্ণ নিষেধ।’
তবে দায়িত্বহীন মানুষের কারণে ট্যাংকের পাশের হাসপাতালের প্রথম গেটে অবস্থিত হোটেল-রেস্টুরেন্টে আগুন জ্বালানো হচ্ছে এবং টোঙ দোকানে সিগারেট খোলা হচ্ছে। এই অবহেলা গুরুতর ঝুঁকির সৃষ্টি করছে।
স্থানীয়রা জানান, রাতের বেলা চা-পান ও সিগারেটের দোকানগুলো আরও ভীষণ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। ট্যাংকের চারপাশে থাকা অস্থায়ী দোকানগুলোতে মানুষ চা পান করে সিগারেট জ্বালায়। পাশে হোটেলের চুলাও জ্বলে।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হুসাইন শাফায়াত জানান, দাহ্য পদার্থের কারণে ট্যাংকের চারপাশে বেড়া দেওয়া হয়েছে। তবুও ধূমপান ও আগুন জ্বালানোর ঘটনা ঘটছে। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হবে।
খুলনা বিস্ফোরক অধিদপ্তরের সহকারী বিস্ফোরক পরিদর্শক মুহাম্মদ আবুল হাশেম বলেন, তরল অক্সিজেন ট্যাংকের পাশে আগুন জ্বালানো অত্যন্ত বিপজ্জনক। নিয়ম না মানলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে।


সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন