শনিবার, ০৮ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ৮, ২০২৫, ০২:২৭ পিএম

মানিকগঞ্জ থেকে ধরা পড়েছে আতঙ্ক ছড়ানো সেই কুমির

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ৮, ২০২৫, ০২:২৭ পিএম

ছবি:  রূপালী বাংলাদেশ

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

প্রায় এক মাস ধরে মানিকগঞ্জের পদ্মা নদীর একটি শাখায় আতঙ্ক ছড়ানো কুমিরটি অবশেষে স্থানীয়দের তৈরি ফাঁদে ধরা পড়েছে। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) রাত সাড়ে আটটার দিকে সদর উপজেলার হাটিপাড়া ইউনিয়নের চৌকিঘাটা এলাকায় স্থানীয় কয়েকজন যুবক কুমিরটিকে আটক করতে সক্ষম হন।

শনিবার (৮ নভেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হরিরামপুর উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম। তিনি জানান, হরিরামপুর উপজেলার ধুলসুরা ও হারুকান্দি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম এবং সদর উপজেলার হাটিপাড়া ইউনিয়নের নদীতে কুমিরটি একাধিকবার দেখা গিয়েছিল।

শুক্রবার রাতে স্থানীয়রা চৌকিঘাটা এলাকা থেকে সেটি আটক করেছে। বর্তমানে গ্রাম পুলিশ সেখানে অবস্থান করছেন। আজ আমরা ঢাকার বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ দলের সঙ্গে ঘটনাস্থলে যাব।

প্রায় এক মাস ধরে কুমিরটি নদীপাড়ের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল। প্রথমে হরিরামপুর উপজেলার বোয়ালী, আইলকুন্ডি, খামারহাটি ও হারুকান্দি ইউনিয়নের তন্ত্রখোলা এলাকায় কুমিরটির দেখা মেলে। পরে এটি পদ্মার স্রোতে ভেসে সদর উপজেলার হাটিপাড়া ইউনিয়নের চরবংখুড়ি ও চৌকিঘাটা এলাকায় চলে আসে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কুমিরটি একাধিকবার নদীর পানির ওপর ভেসে উঠতে দেখা গেছে। এতে আশপাশের গ্রামগুলোর মানুষ ভয় পেয়ে নদীতে গোসল, মাছ ধরা ও নৌকা চালানো বন্ধ করে দেন।

চরবংখুড়ি গ্রামের বাসিন্দা মো. রফিক বলেন, আমরা নদীতে নামতে ভয় পেতাম। সকাল কিংবা বিকেলেও কেউ মাছ ধরতে যেত না। বড় একটা কুমির ঘুরে বেড়াচ্ছে শুনে সবাই আতঙ্কিত ছিল।

কুমির ধরার কাজে অংশ নেওয়া স্থানীয় যুবক রাহাত, অন্তর, রাকিব, আল আমিন, সুরুজ ও শাহিন জানান, তারা দীর্ঘদিন কুমিরটির গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছিলেন। রাহাত বলেন, আমরা প্রায় এক মাস ধরে কুমিরটার গতিবিধি লক্ষ্য করেছি। শুক্রবার রাতে চৌকিঘাটা এলাকায় পানির ওপর ভেসে উঠলে দড়ির ফাঁদ পেতে আমরা সেটিকে ধরতে সক্ষম হই।

বন কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম আরো জানান, কুমিরটি সম্ভবত পদ্মার মূল ধারার কুমির, খাবারের খোঁজে শাখা নদীতে ঢুকে পথ হারিয়ে ফেলেছিল। আমরা কুমিরটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করব। এটি সুস্থ থাকলে উপযুক্ত স্থানে, সম্ভব হলে সুন্দরবনের সংরক্ষিত এলাকায় অবমুক্ত করা হবে।

কুমিরটি ধরা পড়ার পর এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। খবরটি ছড়িয়ে পড়তেই আশপাশের গ্রাম থেকে শত শত মানুষ ঘটনাস্থলে ভিড় করেছেন। কেউ ভিডিও ধারণ করছেন, কেউ আবার কুমিরটির সঙ্গে সেলফি তুলছেন।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!