মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


পীরগঞ্জ (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৮, ২০২৫, ০২:২৭ পিএম

শর্ত মানছে না ইজারাদার, অবৈধভাবে চলছে বালু উত্তোলন

পীরগঞ্জ (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৮, ২০২৫, ০২:২৭ পিএম

অবৈধভাবে চলছে বালু উত্তোলন। ছবি:  রূপালী বাংলাদেশ

অবৈধভাবে চলছে বালু উত্তোলন। ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার টাঙ্গন নদী থেকে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলায় সরকারি দুটি বড় সেতু মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়েছে। ইজারার শর্ত ভঙ্গ করে ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে বালু তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়ছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পীরগঞ্জের ২নং কোষারানীগঞ্জ ইউনিয়নের টাঙ্গন নদীর ১০.৮১ একর জায়গা থেকে ১৪৩২ বঙ্গাব্দের ৩০ চৈত্র পর্যন্ত ১ বছরের জন্য বালু উত্তোলনের ইজারা পান নওগাঁর শিমলা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আলহাজ সিরাজুল ইসলাম।

তবে তিনি ইজারা প্রাপ্ত স্থানে বালু উত্তোলন না করে নাকাটি হাট এলাকার সরকারি সেতুর সংলগ্ন জায়গা থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু তুলছেন।

এছাড়া ৬নং ইউনিয়নের মশালডাঙ্গী সেতুর উত্তর পাশ থেকেও নিয়মিত বালু উত্তোলন করা হচ্ছে যা সম্পূর্ণ অবৈধ। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, কেউ প্রতিবাদ করলে ইজারাদারের লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে ভয়ভীতি দেখানো হয়।

সেতুর নিচ থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে প্রায় ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত দুটি সরকারি সেতু যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। অভিযোগ রয়েছে, ইজারাদার তার নির্ধারিত সীমানা নির্ণয় না করেই পুরো টাঙ্গন নদী নিজের ইজারা দাবি করছেন।

স্থানীয় সলেমান আলী ও সাইফুল ইসলাম জানান, ইজারাদারের লোকজন ৮নং দৌলতপুর ইউনিয়নের কাস্তোর, ১০নং জাবরহাট ইউনিয়নের গেঞ্জি ডুবা ঘাট এবং ১১নং বৈরচুনা ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থান থেকেও অবৈধভাবে বালু তুলে বৈধ মেমো দেখিয়ে প্রকাশ্যে বিক্রি করছেন।

এ বিষয়ে এলাকাবাসী প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইশরাত ফারজানা বলেন, ‘বিষয়টি তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

অপরদিকে বালু ইজারাদার সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘ইজারা করা স্থানে কিছু সমস্যার কারণে নাকাটি সেতুর দেড় থেকে দুইশ মিটার উত্তরে বালু উত্তোলন করছি। এছাড়া কয়েকটি ইউনিয়নে বালু বিক্রির জন্য মেমো বই দেওয়া হয়েছে।’

এলাকার সুশীল সমাজ টাঙ্গন নদী রক্ষায় ও অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!