শনিবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


ফিরোজ মাহমুদ, মিরসরাই (চট্টগ্রাম)

প্রকাশিত: নভেম্বর ২২, ২০২৫, ০৩:৪৮ পিএম

মীরসরাইয়ে অসময়ে তরমুজ চাষে সফল কৃষকেরা

ফিরোজ মাহমুদ, মিরসরাই (চট্টগ্রাম)

প্রকাশিত: নভেম্বর ২২, ২০২৫, ০৩:৪৮ পিএম

গাছে ঝুলে থাকা তরমুজ। ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

গাছে ঝুলে থাকা তরমুজ। ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে অসময়ে তরমুজ চাষ করে সফল হয়েছেন মিরসরাইয়ের অসংখ্য কৃষক। কম খরচে বেশি ফলন ও বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় সন্তুষ্ট তারা। উচ্চ ফলনশীল তরমুজ চাষ করে অল্প সময়ে এবং কম খরচে দ্বিগুণ-তিনগুণ লাভ করছে কৃষকরা। তরমুজ চাষ করে উপজেলার ১২ নম্বর খৈয়াছড়া ইউনিয়নের নিশ্চিন্তা, মসজিদিয়া বুজননগর ও মাছুমেরতালুক গ্রামে বেশ কয়েকজন কৃষক সাড়া ফেলেছেন।

স্বল্প পুঁজিতে অধিক লাভ হওয়ায় বছরের পর বছর বাড়ছে তরমুজের চাষ। এবার মিরসরাইয়ে স্মলহোল্ডার এগ্রিকালচারাল কম্পিটিটিভনেস প্রজেক্ট (এসএসিপি) এর আওতায় ৮ জন কৃষককে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন কার্যালয় থেকে প্রদর্শনী প্লট দিয়েছেন। এছাড়া নিজ উদ্যোগে চাষ করেছেন আরো ২ জন কৃষক। এবার উপজেলায় ৩ শত শতক জমিতে তরমুজ আবাদ হয়েছে।

মালচিং ও মাচাং পদ্ধতিতে তরমুজ চাষে কৃষকরা সফলতা পাওয়ায় অন্যান্য কৃষকরাও আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। ফলে অসময়ে তরমুজ চাষ নিয়ে দেখা দিয়েছে নতুন সম্ভাবনা। আগামীতে আরো বড় পরিসরে তরমুজ চাষের স্বপ্ন বুনছেন অনেক কৃষক। অধিক লাভ হওয়ায় অসময়ে তরমুজ চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছে কৃষি বিভাগ। দিচ্ছেন মালচিং পেপার, সার, বীজসহ প্রশিক্ষণ।

কৃষক রাজু চন্দ্র দাশ বলেন, ‘আমি প্রথমবার ৩৩ শতক জমিতে ৬ টি জাতের তরমুজ চাষ করেছি। মালচিং পদ্ধতিতে এই চাষে খুবই ভালো ফলন হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসের সর্বাত্বক সহযোগিতায় আমি সফলতা পাবো বলে আশাবাদী। আমার ১ লাখ ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ৩ লক্ষ টাকার তরমুজ বিক্রি করতে পারবেন বলে আশাবাদী তিনি।’

কৃষক মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আমি দুই বছর যাবত তরমুজ চাষ করে আসছি। প্রথমবার সফলতা পাওয়ায় এবারও ৩৩ শতক জমিতে ব্ল্যাক ভেরি, বাংলালিংক, সূর্যডিমসহ কয়েকটি জাতের তরমুজ চাষ করেছি। কৃষি অফিস থেকে মালচিং পেপার, সার, বীজসহ নানা সহযোগিতা পেয়েছি। ফলনও ভালো হয়েছে। ৮৫ হাজার টাকা আমার খরচ হয়েছে, আমি আশা করছি দেড় থেকে ২ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করতে পারবো।’

উপজেলায় চাষ হওয়া তরমুজ জাতের মধ্যে অন্যতম ব্ল্যাক ভেরি, সূর্য ডিম, বাংলালিংক, রসগোল্লা, লিয়োনা, কিংসুপার, বিগবাইট, জাফরান ও সুইটবাইট। উৎপাদিত তরমুজের ওজন ৩ কেজি থেকে শুরু করে ১০ কেজি ওজনের হয়ে থাকে। বীজ রোপন থেকে শুরু করে বিক্রির উপযুক্ত হয় ৭০ থেকে ৭৫ দিনের মধ্যে। প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে প্রকারভেদে ৭০ থেকে ৯০ টাকায়।

মিরসরাই উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা (খৈয়াছড়াও মসজিদিয়া ব্লক) মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ‘এসএসিপি প্রকল্পের আওতায় ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে উপজেলার খৈয়াছড়া-মসজিদিয়া ব্লবে অসময়ের তরমুজের ৮টি প্রদর্শনী স্থাপন করেছি।

কৃষি অফিস থেকে সার, বীজ, মালচিং পেপারসহ আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়েছে। আমি নিয়মিত তরমুজ চাষীদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে পরামর্শ দিয়েছি এবং প্রায় সময় ক্ষেত পরিদর্শন করেছি। গত ৩ বছর ধরে আমার আওতাধীন ব্লকে অসময়ের তরমুজ চাষ হচ্ছে। কৃষকরা অল্প সময়ে ভালো লাভ পাওয়ায় তরমুজ চাষ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।’

মিরসরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন, ‘২০২৩ সালে প্রথমবারের মতো ৫০ শতক জমিতে অসময়ের তরমুজ চাষ শুরু হয়। মাত্র ৩ বছরের ব্যবধানে তা দাঁড়িয়েছে ৩ শত শতকে। উপজেলায় চাষ হওয়া তরমুজ জাতের মধ্যে অন্যতম ব্ল্যাক ভেরি, সূর্য ডিম, বাংলালিংক, রসগোল্লা, লিয়োনা, কিংসুপার, বিগবাইট, জাফরান ও সুইটবাইট। উৎপাদিত তরমুজের ওজন ৩ কেজি থেকে শুরু করে ১০ কেজি ওজনের হয়ে থাকে। বীজ রোপন থেকে শুরু করে বিক্রির উপযুক্ত হয় ৭০ থেকে ৭৫ দিনের মধ্যে। প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে প্রকারভেদে ৭০ থেকে ৯০ টাকায়।’

তিনি বলেন, ‘কিছু তরমুজ বিক্রি হচ্ছে বাকি তরমুজ চলতি মাসের মধ্যে বাজারজাত করা সম্ভব হবে। স্মলহোল্ডার এগ্রিকালচারাল কম্পিটিটিভনেস প্রজেক্ট (এসএসিপি) এর আওতায় আমাদের পক্ষ থেকে তরমুজ চাষীদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি। লাভজনক হওয়ায় ক্রমান্বয়ে অসময়ের তরমুজ চাষী বাড়ছে। আগামিতে আরও বাড়বে বলে আমি আশাবাদী।’

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!