ভোলার তজুমদ্দিনে এইচএসসি পরীক্ষার খাতায় রেজিস্ট্রেশন নম্বর ভুল লেখার কারণে মানসিক চাপে পড়ে তনু চন্দ্র দাস (১৮) নামের এক পরীক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (২৮ জুলাই) রাত সাড়ে ১২টার দিকে ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তনুর পরিবার জানায়, ওইদিন তনুর জীববিজ্ঞান (প্রথম পত্র) পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরে সে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে এবং জানায়, খাতায় রেজিস্ট্রেশন নম্বর ভুল লিখেছে। সে বারবার বলছিল, ‘আমি আর পাস করব না’।
পরিবারের সদস্যরা তাকে সান্ত্বনা দিলেও রাত ৯টার দিকে হঠাৎ চিৎকার শুনে রুমে গিয়ে দেখা যায়, সে পানের বরজে ব্যবহৃত কীটনাশক খেয়ে ছটফট করছে।
তৎক্ষণাৎ তাকে তজুমদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে রেফার করেন। সেখানে রাত সাড়ে ১২টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তনুকে মৃত ঘোষণা করেন।
তনু তজুমদ্দিন উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের শায়েস্তাকান্দি গ্রামের বাসিন্দা শিক্ষক বিতিস চন্দ্র দাস ও গৃহিণী উজ্জলা রাণী দাস দম্পতির একমাত্র সন্তান ছিলেন। তিনি তজুমদ্দিন মহিলা কলেজের বিজ্ঞানবিভাগের শিক্ষার্থী হিসেবে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছিলেন।
ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মো. জুনায়েদ হোসেন বলেন, ‘ওই তরুণীকে আমরা মৃত অবস্থায় পেয়েছি। কীটনাশক পানে তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে।’
আপনার মতামত লিখুন :