বগুড়া: আওয়ামী লীগ সরকার পতনের এক-দফা আন্দোলনে বগুড়ায় ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীর, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলাম ও গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাবেক প্রধান হারুন-অর-রশিদসহ ১৯৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বগুড়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা চেষ্টা মামলার আবেদন করেন বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সামিউল আলিম। আদালতের বিচারক সুকান্ত সাহা শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মামলা হিসেবে রেকর্ড করার আদেশ দিয়েছেন। মামলায় বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরসহ ৪৬ জনের নাম উল্লেখসহ ১৫০জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
আহমেদ আকবর সোবহান ও সায়েম সোবহান আনভীর ছাড়াও আটজন হুকুমের আসামিরা হলেন- ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও বিডিআর বিদ্রোহ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, সিআইডির সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি আবদুল কাহার আকন্দ, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফ, পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলাম, ডিবির সাবেক প্রধান হারুন-অর-রশিদ, অতিরিক্ত ডিআইজি মিজানুর রহমান এবং একাত্তর টেলিভিশনের সাবেক বার্তা সম্পাদক শাকিল আহম্মেদ।
উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- সাবেক সাব রেজিস্ট্রার শাহ আলম, তাঁর স্ত্রী সর্বশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও স্থানীয় বিএনপির সাবেক নেত্রী বিউটি বেগম, শিবগঞ্জ উপজেলার সাবেক ইউএনও লুৎফর রহমান।
বাদীপক্ষের আইনজীবী আবদুল ওহাব মামলার বরাত দিয়ে জানান, গত ৫ আগস্ট বিকেলে শিবগঞ্জ উপজেলা সদরের নাগর বন্দরে ছাত্র-জনতা মিছিল বের করে। এ সময় হুকুমদাতা আটজনের নির্দেশে সাবেক সাব রেজিস্ট্রার শাহ আলম ও তাঁর স্ত্রী বিউটি বেগমের নেতৃত্বে আসামিরা হত্যার উদ্দেশ্যে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা করে। তাঁরা ককটেল হামলার পাশাপাশি গুলিবর্ষণ করলে মুসফিকুর রহমান গুলিবিদ্ধ হন।
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ বলেন, আদালতের নির্দেশে মামলার কপি গ্রহণ করেছি৷ এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।