এক নারীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও ভাইরালের ঘটনায় আলোচিত শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরেই সরকারি বাসভবনে একা ছিলেন। তার স্ত্রী-সন্তান ছিলেন ঢাকায়।
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে, ডিসি অফিসের স্টাফরাই তার জন্য খাবার রান্না করে দিয়ে যেতেন।
ডিসির বাসভবনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্য টিটু বলেন, ‘স্যার একাই থাকতেন। তার পরিবার ঢাকায় থাকে। তিনি গত দুই দিন ধরে বাসায় নেই। ডিসি অফিসের কোনো স্টাফও বাসভবনে প্রবেশ করেননি।’
প্রসঙ্গত, একটি ভিডিওতে এক নারী দাবি করেন, জেলা প্রশাসক আশরাফ উদ্দিন তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার সংসার ভাঙেন, পরে সম্পর্ক অস্বীকার করে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করেন।
ভিডিওতে ডিসি আশরাফ উদ্দিনকেও আবেগঘন কণ্ঠে দেখা যায়, যেখানে তিনি বলেন, ‘অনেক স্বপ্ন ছিল আজকে তোমার সঙ্গে আমার দেখা হবে... আমি তোমাকে কখনোই প্রতারণা করিনি... আমি নিজেকে তিলে তিলে শেষ করব।’
ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হয়। শনিবার (২১ জুন) রাতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে তাকে ওএসডি করে মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ২৭তম বিসিএস ক্যাডারের এই কর্মকর্তা ২০২৪ সালের ৩ নভেম্বর শরীয়তপুরে ডিসি হিসেবে যোগ দেন। এর আগে তিনি নিউরো ডেভেলপমেন্ট ও অটিজম ট্রাস্টে পরিচালক ছিলেন।
অবশ্য ভিডিও ভাইরালের পর থেকেই তিনি নিখোঁজ বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি তাকে।
ঘটনার পর শরীয়তপুরে প্রশাসনের ভেতরে ও বাইরে আলোচনার ঝড় বইছে। সামাজিকভাবে এই ঘটনাকে বিব্রতকর বলে মন্তব্য করেছেন অনেকেই।