ঢাকা শুক্রবার, ২০ জুন, ২০২৫

এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কমিটি গঠনে নতুন নীতিমালা

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ২০, ২০২৫, ০৪:৪১ পিএম
ছবি- সংগৃহীত

সরকারি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত হবে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটি। এ সংক্রান্ত নীতিমালা জারির এক মাসের মধ্যে দেশের কলেজ ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর ম্যানেজিং কমিটি পুনর্গঠনের কাজ শেষ করতে হবে। খুব শিগগিরই এ নীতিমালা জারি করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের আটটি দ্রুত বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কমিটি গঠনের বিষয়টিও ছিল। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া।

সভায় অংশ নেওয়া একাধিক কর্মকর্তা জানান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ দু’দিনের মধ্যে ম্যানেজিং কমিটি গঠনসংক্রান্ত নীতিমালা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৫ কর্মদিবসের মধ্যে ভেটিং সম্পন্ন করে ফেরত পাঠাবে। এরপর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ তা চূড়ান্তভাবে জারি করবে। নীতিমালা জারির এক মাসের মধ্যে দেশের কলেজ ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটি পুনর্গঠন করতে হবে।

জানা গেছে, সভার মূল আলোচ্য ছিল জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের ১৮টি প্রস্তাব। এর মধ্যে আটটি সহজে বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশ নিয়ে আলোচনা হয়।

প্রস্তাবগুলো হলো:

১. মহাসড়কের পেট্রোল পাম্পে স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট স্থাপন

২. সরকারি মন্ত্রণালয়গুলোর ওয়েবসাইট ডায়নামিক করা

৩. কলেজ ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠন

৪. বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে কমিউনিটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিচালনা

৫. সরকারি দপ্তরে নিয়মিত গণশুনানি নিশ্চিত করা

৬. তথ্য অধিকার আইন-২০০৯ এবং Official Secrets Act, 1923 পর্যালোচনা ও সংশোধন

৭. বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো পুনর্গঠন করে কমিশনে রূপান্তর

৮. ডিজিটাল রূপান্তর ও ই-সেবা কার্যক্রম জোরদার করা।

স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নের অংশ হিসেবে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ ও এনজিও বিষয়ক ব্যুরো এক সপ্তাহের মধ্যে বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে সভা করে কমিউনিটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিচালনার কৌশল নির্ধারণ করবে।

এছাড়া সকল সরকারি দপ্তরে নির্দিষ্ট বিরতিতে গণশুনানি নিশ্চিত করতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এক সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে বৈঠক করে কৌশল নির্ধারণ করবে।

তথ্য অধিকার আইন ও Official Secrets Act সংশোধন সংক্রান্ত সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা নেবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও তথ্য মন্ত্রণালয়।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোকে কমিশনে রূপান্তরের কাজ চলমান সংস্কার কার্যক্রমের সঙ্গে সমন্বিতভাবে বাস্তবায়ন করা হবে।

ডিজিটাল রূপান্তর ও ই-সেবার জন্য তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ নাগরিক প্ল্যাটফর্মে সব সরকারি সেবা অন্তর্ভুক্তির পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে। একই সঙ্গে জাতীয় তথ্য শাসন আন্তঃকার্যকারিতা (ন্যাশনাল ডেটা গভর্নেন্স ইনটেরোপেরাবিলিটি) দ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

আগামী এক মাসের মধ্যে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ তাদের সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে জানাবে।

এদিকে, বিগত কয়েক মাসে সরকার বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে ছোট-বড় এক হাজার ৬১টি সংস্কার ও উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে। ৫৪টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ ইতিমধ্যে এসব উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে।

শিক্ষা-সংক্রান্ত আরও খবর ও বিশ্লেষণ জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।