ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

বগুড়ায় ৫ শিক্ষার্থীকে নিয়ে পুকুরে ধসে পড়ল শ্রেণিকক্ষের মেঝে

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৫, ০২:০৫ এএম
পুকুরে ধসে যাওয়া ক্লাস রুমের মেঝে। ছবি- সংগৃহীত

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম ইউপির বাগবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঁচ শিক্ষার্থীকে নিয়ে পুকুরের পানিতে ধসে পড়েছে  ক্লাসরুমের ফ্লোর। এ ঘটনার পর ওই কক্ষ বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা শিক্ষা অফিস।

বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় ক্লাস শুরুর আগে শিশু শ্রেণির কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। 

এলাকাবাসীর অভিযোগ, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অসতর্কতা আর অবহেলায় এমন ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয়রা বলেন, ‘চলতি বছরের জানুয়ারির ১৫ তারিখে প্রধান শিক্ষক হিসেবে এই বিদ্যালয়ে যোগ দেন শ্যামনাথ। তিনি বিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে খুবই উদাসীন। তিনি স্কুলের শিক্ষক বা স্থানীয়দের সঙ্গে কোনো পরামর্শ না করেই একক সীদ্ধান্তে চলেন। বরাদ্দের টাকা স্কুলের কী কাজে ব্যবহার করেন সেটিও কাউকে বলার প্রয়োজন মনে করেন না।

তারা বলেন, প্রধান শিক্ষকের উদাসীনতার কারণে পড়াশোনার পাশাপাশি অবকাঠামোর অবস্থাও বেহাল। আর এ কারণেই সকালে ক্লাস শুরুর আগেই শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থী হুমায়রা, জীসান ও অলসসহ পাঁচ শিক্ষার্থীকে নিয়ে পুকুরের পানিতে ধসে পড়ে ক্লাসরুমের মেঝে। এই দুর্ঘটনায় শিশু শিক্ষার্থীদের প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটে যেতে পারত। তাদের দাবি, বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সচেতন হলে এমন ঘটনা ঘটত না।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামনাথ বলেন, ‘অনেক দিন আগে পুকুরের ওপর এই বিদ্যালয়ের কক্ষ নির্মাণ করা হয়। সম্প্রতি উত্তর দিকে গাইড ওয়াল নির্মাণ করা হলেও আমি যোগদানের পর থেকে কোনো বরাদ্দ না পাওয়ায় মেঝে সংস্কারের কাজ করা সম্ভব হয়নি। তবে দুই দফায় স্কুলের বরাদ্দ পেয়েছিলাম ৪০ হাজার ৫০০ টাকার মতো। সেটি নিয়ে কারো সঙ্গে আলোচনা না করেই ব্যয় করার জন্য স্থানীয়দের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি।’

উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার রুহুল আমিন বলেন, ‘খবর পেয়েই বিদ্যালয়ে ছুটে এসে ওই ক্লাসরুম বন্ধের জন্য নির্দেশ দিয়েছি। এরপর স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলি। তাদের অভিযোগগুলো নোট করি। বিষয়গুলো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। এরপর তারাই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’