ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার দাঁতমন্ডল গ্রামে বুধবার বিকেল ৫ ঘটিকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এ সময় বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার পাশাপাশি প্রায় ৫টি বাড়িতে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নিহতের পরিবার, স্থানীয় লোকজন এবং পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ১০-১২ দিন পূর্বে ঢাকায় দুই গ্রুপের দুজন শাকিল এবং সুজনের সাথে ব্যাগ বানানো নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। ওই ঘটনার জের ধরে গত ১৯ সেপ্টেম্বর ঢাকায় মারামারি হয়। পরবর্তীতে ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ২১ সেপ্টেম্বর নাসিরনগর থানায় মামলা হয়। যার মামলা নং ১৪(০৯)২৫ ধারা ১৪৩/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩৫৭/৩৭৯/৫০৬/৩৪ পেনাল কোড রজু হয়।
ওই মামলা মীমাংসার উদ্দেশ্যে বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) এই ঘটনায় সকালে স্থানীয় মুরুব্বি ও সর্দাররা মীমাংসার চেষ্টা করেন।
বিচারের শেষ পর্যায়ে উভয়পক্ষ উত্তেজিত হইলে সালিশকারকরা বলেন, যার যার ঘরে চলে যান, মামলা নিয়ম অনুযায়ী চলবে, বিষয়টি আপনারা আদালতে মীমাংসা করবেন। পরবর্তীতে উভয়পক্ষ আবারও উত্তেজিত হয়ে মারামারিতে লিপ্ত হলে মো. ছাফিল উদ্দিন, পিতা মৃত নুর হোসেন গং এবং মোহিদ আলি পিতা, মৃত রাশেদ আলী গংদের মারামারির একপর্যায়ে মো. আমীর আলী (৪০) পিতা-রফিজ আলী গুরুতর আহত হয়। আহত হলে পরিবারের লোকজন নাসিরনগর উপজেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। পাশাপাশি পাঁচটি বাড়িঘরে ভাঙচুর ও লুটপাটে ঘরের বিভিন্ন জিনিসপত্রসহ ৯টি গরু নিয়ে যায়। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
খবর পেয়ে নাসিরনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
নাসিরনগর থানার এসআই মো. নজরুল ইসলাম, নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপস্থিত হয়ে ভিকটিমের মৃতদেহের সুরতহাল প্রস্তুত এবং অন্যান্য কার্যক্রম সংগ্রহ করেছেন।
নাসিরনগর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) তানভীর আহমেদ জানান, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে প্রেরণ করার প্রক্রিয়া চলছে। অন্যদিকে মৃতার আত্মীয়-স্বজন একত্র হয়ে অপরপক্ষের বাড়িঘরে ভাঙচুর করেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে । ওই বিষয়ে নজরদারি অব্যাহত আছে। ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে ।