চাঁদপুরের কচুয়ায় মায়ানুর (২৪) নামে ছিনতাইকারী চক্রের এক নারী সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলা সদর দক্ষিণ ইউনিয়নের কচুয়া-সাচার সড়কের ঘাগড়া গ্রাম থেকে ওই নারী ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যকে স্থানীয়রা আটক করে কচুয়া থানার পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
পুলিশ এবং স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার সদর দক্ষিণ ইউনিয়নের ৪৬ নম্বর আকানিয়া উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী আরিফা সুলতানা (৮) প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার জন্য বিদ্যালয়ের বাথরুমে প্রবেশ করে। বাথরুমের পাশে লুকিয়ে থাকা মায়ানুর নামে ওই নারী শিক্ষার্থী আরিফা সুলতানার মুখ এবং হাত ওড়না দিয়ে বেঁধে তার কানের স্বর্ণের দুল নিয়ে যান এবং বাথরুমের দরজা বাহির থেকে আটকে দেন।
পরে ওই শিক্ষার্থীর ডাক চিৎকার শুনে বিদ্যালয়ের দপ্তরি আব্দুল কাদের বাথরুম থেকে শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করতে গেলে ওই ছিনতাইকারী সদস্য দ্রুত বিদ্যালয় গেট দিয়ে বের হয়ে চলে যেতে দেখতে পান। বিষয়টি প্রধান শিক্ষক মো. ওবায়দুর রহমানকে জানালে বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক ও স্থানীয় লোকজন ছিনতাইকারীকে ঘাগড়া গ্রাম থেকে আটক করে পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ ছিনতাইকারীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
ওই ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য মায়ানুর পৌর এলাকার করইশ গ্রামের হাজী বাড়ির রুহুল আমিন স্ত্রী।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী আরিফা সুলতানা বাথরুমে গেলে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ছিনতাইকারী দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি।’
উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার সুভাষ চন্দ্র বলেন, ‘বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে অবগত করলে বিদ্যালয়ে এসে দেখি ওই ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যকে স্থানীয়রা আটক করে রেখেছেন। পরে পুলিশ এসে ছিনতাইকারীকে থানায় নিয়ে যায়। বিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও অন্যান্য নিরাপত্তার স্বার্থে বিদ্যালয় প্রধান গেটসহ চতুর্দিকে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করার জন্য প্রধান শিক্ষককে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। পাশাপাশি বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষটি দোতলা থেকে নিচ তলায় আনার জন্য বলা হয়েছে।’
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুল ইসলাম জানান, ‘মায়ানুর নামে ওই নারীকে ছিনতাইয়ের অভিযোগে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা করে চাঁদপুর আদালতে পাঠানো হবে।’
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন