ঢাকা শনিবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৫

১৮ বছর পর নির্বাচন কমিশনের চাকরি ফিরে পেলেন নজরুল ইসলাম চৌধুরী

বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ১৬, ২০২৫, ১২:৪৪ পিএম
নজরুল ইসলাম চৌধুরী। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে হারানো বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের চাকরি দীর্ঘ ১৮ বছর পর ফিরে পেয়েছেন চট্টগ্রামের বাঁশখালীর সন্তান নজরুল ইসলাম চৌধুরী।

চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ের আলোকে তিনি গত ১২ আগস্ট বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের প্রধান কার্যালয় (আগারগাঁও, ঢাকা)-এ সিনিয়র সহকারী সচিব পদে পুনরায় যোগদান করেন।

নজরুল ইসলাম চৌধুরী ২০০৫ সালে নির্বাচন কমিশনে সহকারী সচিব পদে কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি প্রথমে বান্দরবান সদরে নির্বাচন কর্মকর্তা এবং পরে বান্দরবান জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু ২০০৭ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে তিনিসহ আরও ৮৫ জন কর্মকর্তা চাকরি হারান। এদের মধ্যে ৩ জন পরবর্তীতে মৃত্যুবরণ করেন।

দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর আদালতের রায়ে অবশিষ্ট ৮২ জন কর্মকর্তার চাকরি পদোন্নতি, বকেয়া বেতন ও বিধি অনুযায়ী সব আর্থিক সুবিধাসহ পুনর্বহাল করা হয়। যদিও ২০১০ সালে একবার আদালতের রায়ে চাকরি ফিরে পেলেও তা কিছুদিনের মধ্যেই পুনরায় স্থগিত হয়ে যায়। অবশেষে, ২০২৫ সালে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে স্থায়ীভাবে তাদের চাকরি পুনর্বহাল হয়।

এ বিষয়ে অনুভূতি জানাতে গিয়ে নজরুল ইসলাম চৌধুরী বাঁশখালী সাংবাদিকদের বলেন, ‘মহান আল্লাহর দরবারে অশেষ শুকরিয়া। বহু বছর পর হলেও আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি। আমাদের ব্যাচের ৩ জন সহকর্মী এই দীর্ঘ অপেক্ষায় মৃত্যুবরণ করেছেন। আমি সবার দোয়া কামনা করছি, যেন সততার সাথে আমার দায়িত্ব পালন করতে পারি।’

নজরুল ইসলাম চৌধুরী চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার খানখানাবাদ ইউনিয়নের ডোংরা গ্রামের মাতব্বর বাড়ির বাসিন্দা। তার পিতা মরহুম মাহফুজুর রহমান চৌধুরী একজন বিশিষ্ট সমাজসেবী ছিলেন।

তিনি ১৯৯১ সালে বাণীগ্রাম সাধনপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ১৯৯৪ সালে বাঁশখালী ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতিবিজ্ঞান বিভাগ থেকে বিএসএস (অনার্স) এবং এমএসএস ডিগ্রি অর্জন করেন।

ব্যক্তিগত জীবনে তিনি দুই পুত্র ও এক কন্যাসন্তানের জনক। তার বড় ভাই কামরুল ইসলাম চৌধুরী উত্তরা মোটরস লিমিটেডের এজিএম হিসেবে কর্মরত। তার দুই বোন হাজী আলতাফ আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন।