চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার ধলঘাট ইউনিয়নে ফাহিম নামের ছাত্রলীগ নেতার ছুরিকাঘাতে মামুন (২৪) নামে এক প্রবাসী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার আলামপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ভোর ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
নিহত মামুন সম্প্রতি প্রবাস জীবন শেষে দেশে ফিরেছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব শত্রুতার জেরে ছাত্রলীগ নেতা ও অপহরণ মামলার প্রধান আসামি ফাহিম তাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করেন। তবে নিহতের স্ত্রী আঁখি আক্তারের দাবি, তার স্বামীর সঙ্গে ফাহিমের পূর্বে কোনো শত্রুতা ছিল না।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘বুধবার পটিয়ার এক ব্যবসায়ীকে অপহরণের ঘটনায় পুলিশ তদন্তে আসে। তারা আমার স্বামীকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ফাহিমকে তিনি চেনেন। এতটুকুই ছিল তার অপরাধ।’
তিনি আরও জানান, ‘ঘটনার আগের দিন পুলিশ ফাহিমকে তার বাড়িতে পায়। কিন্তু তার মা জোর করে তাকে পুলিশের কাছ থেকে ছাড়িয়ে নেন।’
নিহতের স্ত্রী বলেন, ‘আমার স্বামী নিরীহ একজন মানুষ ছিলেন। এখন আমি একমাত্র সন্তান নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’
এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন, ফাহিম দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় সন্ত্রাস, অপহরণ, চাঁদাবাজি ও ছিনতাইসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত। তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ থাকলেও অদৃশ্য কারণে তিনি বারবার আইনের ফাঁক গলে বেরিয়ে গেছেন।
এ ঘটনায় পটিয়া থানার ওসি মো. নুরুজ্জামান বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের পর থেকে অভিযুক্ত ফাহিম পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, গত বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় ফাহিমের বিরুদ্ধে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন