শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৫, ০৪:০১ পিএম

বাগরাম ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ চান ট্রাম্প, দেবে না আফগানিস্তান

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৫, ০৪:০১ পিএম

চীনের কাছাকাছি হওয়ায় বাগরাম কৌশলগতভাবে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ছবি- সংগৃহীত

চীনের কাছাকাছি হওয়ায় বাগরাম কৌশলগতভাবে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ছবি- সংগৃহীত

আফগানিস্তানের বাগরাম বিমানঘাঁটি পুনর্দখলের প্রস্তাব জানিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে আফগান কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আফগান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, কাবুল আলোচনায় আগ্রহী হলেও পুনরায় সামরিক উপস্থিতির অনুমতি দেওয়া হবে না। সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার ট্রাম্প বলেন, ‘তার প্রশাসন বাগরাম ঘাঁটি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। তিনি দাবি করেন, ঘাঁটিটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি চীনের পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদনকেন্দ্র থেকে মাত্র এক ঘণ্টার দূরত্বে অবস্থিত।

আফগান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা জাকির জালাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, ‘আফগানিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের পারস্পরিক সম্পর্ক থাকা প্রয়োজন, কিন্তু কোনো সামরিক উপস্থিতি বজায় রেখে নয়।’ তিনি আরও জানান, কাবুল পারস্পরিক সম্মান ও অভিন্ন স্বার্থের ভিত্তিতে ওয়াশিংটনের সঙ্গে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে প্রস্তুত।

কাবুলের উত্তরে অবস্থিত বাগরাম ঘাঁটি। যুক্তরাষ্ট্রের দুই দশকের দখলদারিত্বের সময় সামরিক অভিযানের প্রধান কেন্দ্র ছিল এটি। তথাকথিত ‘সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে’ এই ঘাঁটিতে বছরের পর বছর কোনো অভিযোগ বা বিচার ছাড়াই হাজারো মানুষকে আটকে রাখা হয় এবং তাদের অনেককে নির্যাতন করা হয়।

২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহার এবং আফগান সরকারের পতনের পর তালেবানরা বাগরাম ঘাঁটি দখল করে। এই ঘাঁটি থেকে সরে আসার সিদ্ধান্তে ট্রাম্প একাধিকবার আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন। তার মতে, আফগানিস্তানের কারণে নয়, বরং চীনের নিকটবর্তী অবস্থানের কারণে সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ছোট সেনা ঘাঁটি থাকা উচিত ছিল।

সম্প্রতি ট্রাম্প প্রথমবারের মতো নিশ্চিত করেন যে তার প্রশাসন তালেবান কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার মধ্যে রয়েছে। গত সপ্তাহে তার বিশেষ দূত অ্যাডাম বোহলার ও সাবেক মার্কিন দূত জালমায় খলিলজাদ কাবুলে আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুতাক্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। আলোচনায় আফগানিস্তানে আটক মার্কিন নাগরিকদের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানা গেছে।

বাগরামে পুনরায় ঘাঁটি স্থাপনের বিষয়টি গত মার্চ থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনায় রয়েছে বলে সিএনএনের খবরে উল্লেখ করা হয়েছে। ট্রাম্প ও তার উপদেষ্টারা মনে করেন, ঘাঁটিটি কেবল নিরাপত্তার জন্য নয়, আফগানিস্তানের মূল্যবান খনিজসম্পদে প্রবেশাধিকার পেতেও কৌশলগত সুবিধা দিতে পারে।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র এখনো ২০২১ সালে ক্ষমতায় ফেরা তালেবান সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়নি।

Link copied!