ঢাকা সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

মাছ শিকার শেষে ফেরার পথে জলদস্যুদের হামলায় জেলেদের সর্বস্ব লুট

আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৫, ০৭:৪৬ পিএম
মাছ ধরার নৌকায় সশস্ত্র জলদস্যুদের হামলা। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

বঙ্গোপসাগরের সাঙ্গু নদীর মোহনায় মাছ ধরে ফেরার পথে আনোয়ারা উপজেলার গহিরা গ্রামের একটি মাছ ধরার নৌকায় সশস্ত্র জলদস্যুদের হামলায় ৫ জেলে আহত হয়েছেন। এ সময় জেলেদের মারধর করে সাগরে ফেলে দিয়ে মাছ ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায় জলদস্যুরা।

রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) ভোররাত ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে জলদস্যুরা চলে গেলে জেলেরা অপর একটি নৌকায় উঠে উপকূলে ফিরে আসেন।

এ ঘটনায় বাঁশখালী থানার প্রেমাশিয়া গ্রামের মৃত নুর নবীর ছেলে ফিরোজের নাম উল্লেখ করে বার আউলিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী জেলে শওকত হোসেন (৩৫)।

ভুক্তভোগী শওকত হোসেন জানান, ‘সাগরে মাছ ধরার পর আমরা ৩-৪ মন মাছ নিয়ে ঘাটের পথে ফিরছিলাম। হঠাৎ একটি টেম্পু বোট আমাদের পিছু নেয় এবং পাথর ছুড়তে থাকে। জীবন বাঁচাতে ইঞ্জিন বন্ধ করি। পরে তারা আমাদের নৌকায় উঠে লাঠি ও দা দিয়ে চারজনকে মারধর করে সাগরে ফেলে দেয়। আমাকে তাদের বোটে তুলে নিয়ে মারধর করে। মাছ, মোবাইলসহ সবকিছু লুট করে নিয়ে যায়। পরে আমিসহ চারজনকে সাগর থেকে নৌকায় তুলে আনা হয়। আমরা বাঁশখালীর ফিরোজ নামে এক জলদস্যুকে চিনতে পেরেছি।’

এই হামলার পর উপকূলীয় অঞ্চলের জেলেদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তারা বলছেন, বারবার এমন হামলার শিকার হলেও কার্যকর প্রতিরোধ বা নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে না। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন সাগরে মাছ ধরতে হচ্ছে তাদের।

ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী জেলে সমিতির রায়পুর ইউনিয়ন শাখার সভাপতি আব্দুর রহমান নাগু বলেন, ‘বাঁশখালীর প্রেমাশিয়ার জলদস্যুরা আগেও একাধিকবার হামলা চালিয়েছে। ফিরোজ হলো জলদস্যুদের নেতা। প্রশাসনকে সাগরে মাছ শিকারে জেলেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।’

জানতে চাইলে আনোয়ারা বার আউলিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবদুর রহমান বলেন, ‘হামলার ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। আমরা সাগরে টহল জোরদার করব।’