চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কর্ণফুলী থানার ওসি মুহাম্মদ শরীফকে অবশেষে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। নানা অভিযোগ ও আদালতে তলবের পর বুধবার (২২ অক্টোবর) তাকে কর্ণফুলী থানা থেকে বদলি করে সিটিএসবিতে (সিটি স্পেশাল ব্রাঞ্চ) পদায়ন করা হয়েছে। সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজ এই বদলির আদেশে স্বাক্ষর করেন।
ওসি মুহাম্মদ শরীফের বদলির এই আদেশ আসে এমন এক দিনে, যেদিন এক দশক পুরোনো এক মামলার আলামত গায়েবের ঘটনায় তাকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। চট্টগ্রাম মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল–৮ এর বিচারক সিরাজাম মুনীরা মামলার ছয় তদন্ত কর্মকর্তাকে ২২ অক্টোবর সশরীরে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেন।
মামলার নথি অনুযায়ী, ২০১৫ সালের ওই মামলায় ষষ্ঠ তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন শরীফ। তিনি পূর্ববর্তী কর্মকর্তাদের কাছ থেকে জব্দকৃত আলামত ও নথিপত্র বুঝে না নিয়েই অভিযোগপত্র দাখিল করেন বলে আদালতের আদেশে উল্লেখ করা হয়।
এর আগেও ওসি শরীফের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ওঠে। গত ২৯ জুলাই কর্ণফুলীতে ১০ বছর বয়সি শিশু জিহাদের মৃত্যুর ঘটনায় ময়নাতদন্তের নামে টাকা আদায় ও পরে শিশুর মাকে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী মানববন্ধন করে তার শাস্তি দাবি করেন।
এ ছাড়া, গত ৪ আগস্ট এক আওয়ামী লীগ নেতার মেয়ের বিয়েতে যোগ দিয়েও সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর ওই ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে তীব্র সমালোচনা হয়।
বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িত থেকে আলোচনায় থাকা ওসি মুহাম্মদ শরীফকে সরানোর এই সিদ্ধান্তে সাধারণ মানুষ স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।