বিয়ের প্রলোভনে এক তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন চুয়াডাঙ্গার সহকারী জেলা জজ দোলন হোসেন।
রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নাজমিন আক্তারের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তিনি। পরে উভয়পক্ষের আইনজীবীদের শুনানি শেষে আদালত তাকে জামিন দেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ওই তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান বিচারক দোলন হোসেন। পরবর্তীতে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে রাজধানীর মিরপুর শেওড়াপাড়ার বর্ডার বাজার এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে বসবাস শুরু করেন তারা। এরপর তিন বছরে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন বিচারক।
তবে চলতি বছরের ১২ এপ্রিল বিয়ের চাপ দিলে হঠাৎ তরুণীর সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেন দোলন। এরপর দীর্ঘসময় ধরে কোনো সাড়া না পেয়ে ওই তরুণী ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮–এ মামলা করেন। আদালত তা এজাহার হিসেবে গ্রহণ করে মামলা রুজু করেন।
আদালতে জামিন মঞ্জুরের ঘটনায় হতাশা প্রকাশ করে ভুক্তভোগীর আইনজীবী এবিএম সিদ্দিকী বলেন, “বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বছরের পর বছর পাশবিকভাবে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করা হয়েছে। পরবর্তীতে প্রতারণার শিকার হয়ে বিচার চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন ভুক্তভোগী। তবু জামিন দেওয়া দুঃখজনক।”
আপনার মতামত লিখুন :