কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে সাবেক ইউপি সদস্য আলাউদ্দিনকে (৫৫) অপহরণের পর কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা।
হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ দীর্ঘদিনের শত্রু যুবলীগ নেতা শেখ ফরিদ সালেহ আহাম্মদ মেম্বার ও তার দলবলের বিরুদ্ধে উঠেছে।
রোববার (৩ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাড়ির সামনে থেকে তাকে অপহরণ করা হয়। এরপর চাঁন্দাইশ গ্রাম থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
-20250803185753.webp)
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বক্সগঞ্জ ইউপির আলীয়ারা গ্রামে যুবলীগ নেতা শেখ ফরিদ সালেহ আহাম্মদ মেম্বার ও আলাউদ্দিন মেম্বার গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মারামারি ও সংঘর্ষ চলছিল।
এ ব্যাপারে আদালতে কয়েকটি মামলা চলমান রয়েছে। তারই জেরে আলাউদ্দিন মেম্বারের চাচাতো ভাই আবুল বাশারের জানাজার নামাজ শেষে দুপুরের দিকে বাড়ির সামনে এলে একদল মুখোশধারী সন্ত্রাসী সিএনজি চালিত অটোরিকশাযোগে আলাউদ্দিন মেম্বারকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
অপহরণের খবর পেয়ে আলাউদ্দিন মেম্বারের ভাগিনা তারেক ও ডা. আনোয়ার তাদের পিছু ধাওয়া করে উপজেলার চাঁন্দাইশ গ্রামের আবুল খায়ের মাস্টারের বাড়ির সামনে এসে হাত-পা বাঁধা ও গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করেন।
পরে আলাউদ্দিন মেম্বারকে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ডা. আনোয়ার ও তারেক জানান, আলাউদ্দিন মেম্বারের সঙ্গে পূর্ব শত্রুতা থাকায় ছালেহ আহমদ মেম্বার, শেখ ফরিদ, শহীদসহ সন্ত্রাসীরা তাকে অপহরণ করে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে সড়কের পাশে ফেলে পালিয়ে যান।
পলাতক থাকায় অভিযুক্তদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এদিকে, এ ঘটনার পর আলীয়ারা গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষ-হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
নাঙ্গলকোট থানার ওসি একে ফজলুল হক বলেন, একজনকে হত্যার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছি। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
