বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, ‘আগামী নির্বাচন হবে চাঁদাবাজ ও দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে। এটি সকলের মত প্রকাশের নির্বাচন।’
শনিবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গুনবতী ইউনিয়ন জামায়াতের উদ্যোগে গুনবতী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. তাহের বলেন, ‘আমরা সংখ্যালঘু বা সংখ্যাগুরুতে বিশ্বাস করি না। আমরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। সুতরাং জামায়াত ক্ষমতায় এলে কাউকে নির্যাতন করা হবে না। এদেশের মানুষ একটি নতুন বাংলাদেশ দেখবে, যেখানে কোনো সন্ত্রাস থাকবে না, কোনো দুর্নীতি থাকবে না।’
জামায়াতের ক্ষমতায় থাকাকালীন দুর্নীতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘জামায়াতের দুইজন মন্ত্রী ছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনো প্রমাণ পাইনি। আমাকে গ্রেপ্তারের পর বারবার চেষ্টা করেও কোনো দুর্নীতি পাওয়া যায়নি। পরে দুদক স্বীকার করেছে, তথ্যগত ভুলের কারণে আমাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। বিভিন্ন সময়ে জামায়াতের ৬২ জন এমপি ছিলেন, কারো বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনো প্রমাণ বা মামলা হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘শহীদ জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি বৃহত্তম দল ছিল। সেই বিএনপি এখনো জনপ্রিয় হতে পারেনি, আর জনপ্রিয় হয়েছে জামায়াতে ইসলামী। এটির প্রমাণ ডাকসু, জাকসু, রাকসু ও চাকসু নির্বাচন। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা ছাত্রশিবিরকে বেছে নিয়েছে। আগামীর নির্বাচন সত্যের পক্ষের নির্বাচন হবে।’
গুনবতী ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর মো. ইউসুফ মেম্বারের সভাপতিত্বে এবং উপজেলা জামায়াতের কর্ম পরিষদ সদস্য ডা. মন্জুর আহমেদ সাকির সঞ্চালনায় জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জামায়াতের আমীর মু. মাহফুজুর রহমান এবং জামায়াতের ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্ম পরিষদ সদস্য ভিপি শাহাব উদ্দিন।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিশে শুরা সদস্য আইয়ুব আলী ফরায়েজী, ইউনিয়ন ব্যাংকের সাবেক এমডি সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সালেহ, চৌদ্দগ্রাম পৌরসভা জামায়াতের আমীর মাও. মো. ইবরাহীম, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মু. বেলাল হোসাইন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক সৈয়দ একরামুল হক হারুন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও জামায়াত নেতা মেশকাত উদ্দিন সেলিম, শিবিরের কুমিল্লা জেলা দক্ষিণের সাবেক অফিস সম্পাদক আবু সাঈদ মজুমদার প্রমুখ।
জনসভায় উপস্থিত ছিলেন রমনা কারের স্বত্বাধিকারী রহমত উল্লাহ ফরাজী, আবাবিল হজ্জ গ্রুপের স্বত্বাধিকারী আলহাজ্ব মো. আবু ইউসুফ, কুমিল্লা জেলা দক্ষিণ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মু. খাইরুল ইসলাম, সাবেক শিবির নেতা ও অস্ট্রিয়া প্রবাসী মো. শাহাদাত হোসাইন, বাতিসা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল হক মজুমদার খোকন, শিবির নেতা নাজমুল হক মোল্লা বাদল, দশবাহা মাদ্রাসা মুহতামিম মাওলানা মোহাম্মদ ইয়াহিয়া প্রমুখ।
জনসভায় গুনবতী ইউনিয়নের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয় কয়েক হাজার জনতা উপস্থিত ছিলেন।



