শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


ফেনী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৫, ১১:৩৪ এএম

ফেনীতে নদীভাঙন রোধে ম্যারাথন-মানববন্ধন

ফেনী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৫, ১১:৩৪ এএম

ফেনীতে নদীভাঙন রোধে ম্যারাথন। ছবি- সংগৃহীত

ফেনীতে নদীভাঙন রোধে ম্যারাথন। ছবি- সংগৃহীত

ছোট ফেনী নদীর ভয়াবহ ভাঙন রোধে ফেনীর দাগনভূঞা ও সোনাগাজী উপজেলার স্থানীয় বাসিন্দারা ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টায় সোনাগাজী উপজেলার চরমজলিশপুর ইউনিয়নের তালতলী থেকে একটি মিনি ম্যারাথন শুরু হয়, যাতে বিভিন্ন বয়সি অর্ধশতাধিক মানুষ অংশ নেন। ‘নদীভাঙন রোধে হাঁটি একসঙ্গে’ স্লোগানে আয়োজিত এই ম্যারাথনের আয়োজন করে স্থানীয় সামাজিক সংগঠন পরিবর্তন ক্লাব।

ম্যারাথনটি শেষ হয় দাগনভূঞা পৌর শহরের আতাতুর্ক স্কুল মার্কেটের সামনে, যেখানে অনুষ্ঠিত হয় মানববন্ধন। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন পরিবর্তন ক্লাবের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন। বক্তব্য রাখেন স্থানীয় ইউপি সদস্য ওমর ফারুক, নদীভাঙনের শিকার আবুল কাশেম, ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও ব্যাংকার মাহফুজুর রহমান সজিব।

এ ছাড়া সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন সমকাল প্রতিনিধি ইমাম হাসান কচি, সংগ্রাম প্রতিনিধি এম তাহের, এবং নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) উপজেলা সাধারণ সম্পাদক এমএম রহমান সোহেল।

পরিবর্তন ক্লাব সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘মুছাপুর ক্লোজার ভেঙে যাওয়ায় প্রায় ১১২ কিলোমিটার নদীপাড় ভাঙনের মুখে পড়েছে। এতে নদী তীরবর্তী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট ধ্বংস হচ্ছে। সভ্যতা ও সংস্কৃতি হারিয়ে যাচ্ছে। শুধু নদী শাসন নয়, স্থায়ী সমাধানে স্লুইসগেট নির্মাণ এখন সময়ের দাবি।’

ক্লাবের সদস্য সচিব ও ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আব্বাস উদ্দিন আনাস বলেন, ‘আমি নিজেও নদীভাঙনের শিকার। ২০২৪ সালের বন্যায় যতটা ক্ষতি হয়নি, তার চেয়েও বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছি মুছাপুর ক্লোজারের কারণে। পুনর্বাসনের পরও এখন কেউ খোঁজ নিচ্ছে না। মানুষ শৈশবের স্মৃতি ও জন্মভূমি হারাচ্ছে।’ তিনি অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।

স্থানীয় বাসিন্দা এম এ তাহের বলেন, ‘নদীভাঙনে দাগনভূঞার মানচিত্র বদলে যাচ্ছে। জগতপুর, মমারিজপুরসহ অনেক এলাকা নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। দ্রুত সরকারি উদ্যোগ প্রয়োজন।’

স্থানীয় সাংবাদিক ইমাম হাসান কচি বলেন, ‘বাড়িঘর রক্ষা করুন, জীবন রক্ষা করুন। মমারিজপুর সড়ক এরই মধ্যে নদীতে বিলীন হয়েছে। তালতলী বাজার, মিয়াজীর ঘাট, ফাজিলের ঘাট স্কুলও হুমকিতে। মুছাপুর ক্লোজার এখন তিন জেলার মানুষের জন্য মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। এটি সংস্কারে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে জরুরি ব্যবস্থা নিতে হবে।’

Link copied!