ঢাকা মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই, ২০২৫

‘শরিয়তুল্যাহ্ মাস্টার তিস্তাসেতু’ নামকরণের দাবিতে মানববন্ধন

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ২৮, ২০২৫, ১০:৫৬ পিএম
তিস্তা নদীপাড়ে ‘শরিয়তুল্যাহ্ মাস্টার তিস্তাসেতু নামকরণ বাস্তবায়ন কমিটি’ মানববন্ধন। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ ও কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার সংযোগকারী নবনির্মিত তিস্তাসেতুর নামকরণ ‘শরিয়তুল্যাহ্ মাস্টার তিস্তাসেতু’ করার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (২৮ জুলাই) বিকেলে সেতু সংলগ্ন তিস্তা নদীপাড়ে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে ‘শরিয়তুল্যাহ্ মাস্টার তিস্তাসেতু নামকরণ বাস্তবায়ন কমিটি’।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নামকরণ বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক শামীম মণ্ডল, সদস্যসচিব শাহিন মিয়া, বাংলাদেশ শিক্ষা পর্যবেক্ষক সোসাইটির চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ এম. শরিফুল ইসলাম, নূর আলম নূর, আমীন হোসেন আমীন, আমানুল্লাহ্ নাসিমী, নূর আলম সিদ্দিকী, হাসান মাসুদ খান, উপজেলা এনসিপি নেতা আজিজুর রহমানসহ অনেকে।

বক্তারা বলেন, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, মুক্তিযোদ্ধা ও তিস্তাসেতু নির্মাণ আন্দোলনের অগ্রদূত আ ব ম শরিয়তুল্যাহ্ মাস্টারের সম্মানে এই সেতুর নামকরণ করা উচিত। ১৯৯৫ সালে যখন তিনি এককভাবে তিস্তাসেতুর দাবিতে লিফলেট বিতরণ, গণসাক্ষর অভিযানসহ বিভিন্ন আন্দোলন শুরু করেন, তখন অনেকে উপহাস করলেও তিনি পিছপা হননি।

তারা আরও বলেন, এই সেতু বাস্তবায়নে তার অবদান ইতিহাসে স্বীকৃতি পাওয়ার যোগ্য। তাই নতুন তিস্তাসেতুর নাম ‘শরিয়তুল্যাহ্ মাস্টার তিস্তাসেতু’ ঘোষণা করা হলে তা এলাকার মানুষের দাবির প্রতি সম্মান প্রদর্শন হবে।

তিস্তা নদীপাড়ে মানববন্ধন। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

২০১২ সালে প্রকল্পটি অনুমোদন দেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী অর্থ ছাড়ের পর ২০১৪ সালের ২৫ জানুয়ারি তিস্তাসেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। এরপর ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্মাণকাজের উদ্বোধন করা হয়।

১৪৯০ মিটার দীর্ঘ মূল তিস্তাসেতুর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে আরও একটি ৯৬ মিটার দীর্ঘ আর্চব্রিজ। এ ছাড়া প্রকল্পে রয়েছে ৮০ কিলোমিটার অতিরিক্ত সড়ক উন্নয়ন, সংশ্লিষ্ট মাটি ভরাট, জমি অধিগ্রহণসহ একাধিক সম্পূরক কাজ।

প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৯২৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে সৌদি ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট (এসএফডি) দিয়েছে ৬৩২ কোটি টাকা এবং বাংলাদেশ সরকার দিয়েছে ২৯৩ কোটি টাকা। প্রকল্পটি নির্মাণ করেছে ‘চায়না স্টেট কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড’ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

এটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)-এর তত্ত্বাবধানে বাস্তবায়িত প্রথম বৃহৎ প্রকল্প। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন ২ আগস্ট সেতু চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হওয়ার কথা থাকলেও উদ্বোধনের তারিখ পরিবর্তন হওয়ায় এখন পর্যন্ত তিন দফা সময় পেছানো হয়েছে।