ঢাকা শনিবার, ০১ নভেম্বর, ২০২৫

সাত বিয়ে করা নারীর ফাঁদে বিচারক

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: অক্টোবর ৩১, ২০২৫, ০৭:১২ পিএম
অভিযুক্ত নারী মদিনা মুনসুর। ছবি- সংগৃহীত

ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতে মদিনা মুনসুর নামের এক নারীকে নিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন খোদ একজন বিচারক।

অভিযোগে বলা হয়েছে, মদিনা সরকারি চাকরিজীবীদের টার্গেট করে বিয়ে করতেন এবং পরবর্তীতে যৌতুক ও ধর্ষণের মামলা দিয়ে তাদের কাছ থেকে ২০-৪০ লাখ টাকা আদায় করতেন।

ভুক্তভোগী বিচারকের আইনজীবী ইশরাত হাসান জানান, মদিনা মুনসুরের বিরুদ্ধে বর্তমানে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে ৩টি মামলা বিচারাধীন। তথ্য অনুযায়ী, তিনি ২০০৬, ২০১০, ২০১৩, ২০১৫, ২০২০, ২০২২ এবং ২০২৫ সালে বিয়ে করেছেন। সব স্বামীই সরকারি চাকরিজীবি। অভিযোগে বলা হয়েছে, বিয়ের মাত্র সাতদিনের মধ্যে নতুন স্বামীর নামে ধর্ষণ মামলা দায়ের করতেন।

মদিনা মুনসুর অভিযোগ স্বীকার না করে বলেছেন, এটি একটি বিচারাধীন বিষয়, তাই মন্তব্য করতে চাই না।

তবে বিচারকের আইনজীবী জানিয়েছেন, মদিনা বিয়ের কথা স্বীকার করেছেন।

আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, আমাদের কাছে কাবিননামা, আদালতের আপস কপিসহ প্রতারণার প্রমাণ রয়েছে। এই মামলায় সর্বোচ্চ সাত বছর (৪৯৫ ধারা) এবং তিন বছরের (৪১৭ ধারা) কারাদণ্ড হতে পারে।

অভিযোগপ্রাপ্ত নারীর আইনজীবী আহসান হাবীব জানিয়েছেন, তিনি মামলা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন এবং আদালতকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।