গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার প্রধান ডাকঘরটি এখন অব্যবস্থাপনা ও অবহেলার প্রতিচ্ছবি। সামান্য বৃষ্টি হলেই ডাকঘরের চারদিকে পানি জমে যায়। আর টানা বৃষ্টিপাত হলে সেই পানি ঢুকে পড়ে ভেতরে। সেবা নিতে আসা মানুষদের পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ। এমন অবস্থায় পোস্ট অফিসের প্রতি মানুষের আস্থা যেমন কমছে, তেমনি হুমকির মুখে পড়েছে একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান।
ডাকঘর চত্বরের চারপাশে নেই কোনো সীমানা প্রাচীর কিংবা নিরাপত্তার লোহার গেট। কে বা কারা তুলে নিয়েছে সেগুলো। ফলে ডাকঘরের সামনেই পরিবহন শ্রমিকরা যানবাহন রেখে চলাচলের পথ আটকে রাখেন। এতে সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে পোস্ট মাস্টার, রানার, ডাক পিয়ন সবাইকে প্রতিদিনই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
সম্প্রতি কয়েক দিনের বৃষ্টিতে ডাকঘরের সামনে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। বাধ্য হয়ে বৃষ্টির পানি মাড়িয়ে ডাকঘরের ভেতরে ঢুকছেন সেবাগ্রহীতারা। আশপাশে রয়েছে কলকারখানা ও নানা অফিস, যেখানে প্রতিদিন আসেন শত শত মানুষ। কিন্তু এই দুরবস্থার কারণে অনেকেই ডাকঘরে সেবা নিতে অনাগ্রহ প্রকাশ করছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ডাকঘরের সামনে উঁচু রাস্তা থাকায় বৃষ্টির পানি গিয়ে নিচু ডাকঘরের আঙিনায় জমে থাকে। এতে দীর্ঘদিন পানি না শুকানোয় বেড়েছে মশাবাহিত রোগের আশঙ্কা।
এক সেবাগ্রহীতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘সামনেই ময়লার স্তূপ, পাশে প্রস্রাবের গন্ধে দাঁড়িয়ে থাকাই কষ্টকর।’
ডাকঘরের রানার ফরিদ উদ্দিন, শাহিন মিয়া ও ডাক পিয়ন শামসুল হক জানান, ‘বিষয়টি আমরা পোস্ট মাস্টার স্যারকে জানিয়েছি। উনারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছেন। আমরা দ্রুত সমাধান চাই।’
পোস্ট মাস্টার মো. ইব্রাহিম জানান, ‘আমি দুই বছর আগে যোগদান করি। তখন থেকেই দেখি চারপাশে যে লোহার অ্যাঙ্গেল দেওয়া ছিল, তা কেউ তুলে নিয়েছে। ফলে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে অফিসটি। বৃষ্টিতে পানি জমে থাকে, সেবাগ্রহীতারা কষ্ট করেন। আমি বিষয়গুলো লিখিতভাবে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি, তারা গুরুত্ব সহকারে দেখছেন।’
এ বিষয়ে জানতে কালীগঞ্জের ডাকঘরের দায়িত্বে থাকা নরসিংদীর ইন্সপেক্টর আঞ্জু মনোয়ারা বেগমের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
আপনার মতামত লিখুন :