চাঁদাবাজি মামলায় জেল থেকে বেরিয়ে আসার পর ফের রাজনৈতিক তৎপরতা শুরু করেছেন গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সভাপতি ও বিতর্কিত আওয়ামী লীগ নেত্রী স্বর্ণালী জোয়ারদার রিয়া।
জানা গেছে, তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও মাদক পাচারের একাধিক অভিযোগ থাকলেও বর্তমানে তিনি বিভিন্ন থানা ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রাখছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, নিজ দলে ভিড়াতে না পেরে জোয়ারদার স্বর্ণালী বাদীর কাছে ২০২২ সালের ১০ মে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। কিন্তু না পেয়ে দুদিন পর ১২ মে ভোর ৫টার সময় একটি লোহার স্টিক দিয়ে তার ওপর হামলা চালান। মামলায় হালিম জোয়ারদার ও নিয়াজ্জেল বিশ্বাস নামে আরও দুজনকে আসামি করা হয়।
এদিকে, রিয়া গ্রেপ্তারের খবর ছড়িয়ে পড়লে তার পক্ষে আইনজীবীদের কেউ জামিন শুনানিতে অংশ নিতে পারে শুনে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা আদালত চত্বরে জড়ো হয়। তবে শেষ পর্যন্ত কোনো আইনজীবী তার পক্ষে দাঁড়াননি। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এ ছাড়াও, মাদক পাচারের মামলাও রয়েছে স্বর্ণালী জোয়ার্দার রিয়ার বিরুদ্ধে। নিজস্ব প্রাইভেটকার যোগে দেশের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে আনা ২০ কেজি গাঁজা রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে আটক করা হয়। ওই মামলার অন্যতম আসামিও রিয়া।
কারা থেকে বের হওয়া পর ফের সক্রিয় এই নেত্রীকে ঘিরে শ্রীপুরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।