গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে প্রকাশ্যে চান্দনার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরমান তুহিন নামের আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সোমবার (১১ আগস্ট) রাতে রাজধানীর তুরাগ থানা এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে তাকে গাজীপুর মহানগর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ-উত্তর) মো. রবিউল হাসান।
মো. রবিউল হাসান জানান, ‘তুহিন হত্যায় সরাসরি অংশ নেওয়া আরমানকে সিসিটিভি ফুটেজে নীল রঙের শার্ট পরিহিত অবস্থায় দেখা গেছে। তদন্তে তার সংশ্লিষ্টতা নিশ্চিত হওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, সাংবাদিক তুহিন হত্যায় এখন পর্যন্ত মূলহোতাসহ মোট ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে গাজীপুর মহানগর পুলিশ ৬ জনকে এবং র্যাব সর্বশেষ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
এর আগে গত শুক্রবার রাতে গাজীপুর মহানগরীর শিববাড়ি এলাকা থেকে স্বাধীন নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে কিশোরগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আরেক আসামি শহিদুলকে।
ঘটনার পেছনের প্রেক্ষাপট
গত ৭ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) রাতে গাজীপুর মহানগরীর ব্যস্ততম চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় একটি মার্কেটের ভেতরে সাংবাদিক তুহিনকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়। ঘটনার সময় তার মোবাইল ফোনটিও ছিনিয়ে নেওয়া হয়।
নিহত আসাদুজ্জামান তুহিন (৩৮) দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি ছিলেন। তিনি ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া থানার ভাটিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে গাজীপুর মহানগরীর চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় বসবাস করতেন।
সাংবাদিক তুহিন হত্যার ঘটনায় সারা দেশে নিন্দার ঝড় উঠেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, ঘটনার পেছনে থাকা কারণ ও জড়িতদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে তদন্ত চলছে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন