গাজীপুর সদর উপজেলায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গণপিটুনিতে হায়দার ইসলাম (৫১) নামে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আল-আমিন (২৫) নামে আরও এক ডাকাত গুরুতর আহত হয়ে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ভোর ৪টার দিকে সদর উপজেলার নয়াপাড়া এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে স্থানীয়রা দুই ডাকাতকে আটক করে মারধর করেন। খবর পেয়ে জয়দেবপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হায়দার ইসলাম ও আলামিনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক হায়দার ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত হায়দার ইসলামের বাড়ি রাঙামাটির লাংগদু উপজেলার জালালাবাদ গ্রামে। তিনি সোলেমান বেপারীর ছেলে। আহত আলামিনের বাড়ি ফেনী জেলার মহিরহাট গ্রামে। তিনি মহন দালালের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, নয়াপাড়া এলাকায় সম্প্রতি একাধিক ডাকাতির ঘটনার পর এলাকাবাসী মিলে বিভিন্ন পয়েন্টে পাহারা দিচ্ছিলেন। এ সময় সংঘবদ্ধ একটি ডাকাত দল বনের ভেতর থেকে বেরিয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি নিতে থাকে। এ সময় স্থানীয় পাহারাদাররা দেখে ফেলে। পরে তারা ধাওয়া দিলে ডাকাত দলের সদস্যরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পালিয়ে যেতে থাকে।
এ সময় আল-আমিন নামে একজনকে আটক করে। অন্যান্য আরও ৭ থেকে ৮ জন পালিয়ে যাওয়ার সময় পাশেই আরেকটি গ্রাম ভবানীপুর ভৌরাগাটা এলাকায় হায়দার নামে আরেক ডাকাতকে আটক করে গণপিটুনি দেয়, এতে গুরুতর আহত হয়ে পড়ে। পরে পুলিশ খবর পেয়ে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
জয়দেবপুর থানার ওসি তৌহিদ আহমেদ জানান, নয়াপাড়া এলাকায় ডাকাতি করতে এলে স্থানীয় লোকজন দুজনকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে হায়দার নামে একজনের মৃত্যু হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। নিহত হায়দার ইসলামের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় ৬টি ডাকাতি মামলা রয়েছে। ঘটনাটির বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
