বুধবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


গাজীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৬, ২০২৫, ০৯:৩১ এএম

কবর থেকে মায়ের মরদেহ তুলে মশারি টানিয়ে ঘরে রাখলেন ছেলে

গাজীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৬, ২০২৫, ০৯:৩১ এএম

কবর থেকে তুলে এনে মাকে লেপ-কাঁথা দিয়ে ঢেকে রেখেছে ছেলে। ছবি- সংগৃহীত

কবর থেকে তুলে এনে মাকে লেপ-কাঁথা দিয়ে ঢেকে রেখেছে ছেলে। ছবি- সংগৃহীত

গাজীপুরের কালিয়াকৈরের মোথাজুরী এলাকায় কবর থেকে মায়ের মরদেহ তুলে ঘরে নিয়ে মশারি টানিয়ে লেপ-কাঁথা দিয়ে ঢেকে রাখার অভিযোগ উঠেছে তার ছেলে সজিব হোসেনের (৩২) বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পুরো এলাকায় নেমে এসেছে আতঙ্ক ও ক্ষোভ।

খোদেজা বেগম উপজেলার মোথাজুরী এলাকার মৃত আনতাজ আলী খানের স্ত্রী।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্বামীর মৃত্যুর পর একমাত্র ছেলে সজিবকে নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন খোদেজা বেগম (৫০)। দীর্ঘদিন ধরেই সজিব মাদকাসক্ত হয়ে মায়ের সঙ্গে নিয়মিত ঝগড়া ও নির্যাতন চালাতেন।

শনিবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে তীব্র বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে খোদেজা বেগম মানসিক চাপে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্ত শেষে রোববার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

কিন্তু সেই রাতেই সজিব গোপনে কবর খুঁড়ে মায়ের মরদেহ তুলে নিজ ঘরে এনে মশারি টানিয়ে লেপ-কাঁথা দিয়ে ঢেকে রাখে। সোমবার (২৪ নভেম্বর) সকালে কবর খোলা দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয়দের সহায়তায় সজিবের ঘরের তালা ভাঙে। এ সময় ঘরের ভেতর মশারির নিচে লেপে মোড়ানো অবস্থায় খোদেজা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

খোদেজার বড় ভাই আব্দুল মান্নান মিয়া বলেন, সজিব আমাকে ফোন দিয়ে বলেছে— তার মাকে কেন মাটিতে দিয়েছি। সে আমাকে খুন করার হুমকিও দিয়েছে। আমরা সবাই ভয়ে আতঙ্কে আছি।

এ বিষয়ে ফুলবাড়িয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) সুরুজ জামান বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত অস্বাভাবিক ও হৃদয়বিদারক। স্থানীয়দের সহায়তায় মরদেহ পুনরায় দাফন করা হয়েছে। বিষয়টি আইনিভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Link copied!