যশোর সদর উপজেলার শাখারীগাতি গ্রামে প্রবাসীর স্ত্রীর ঘরে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়েছেন হারুন অর রশিদ খান নামের এক বিএনপি নেতা।
স্থানীয়দের হাতে আটক হয়ে গণপিটুনির শিকার হন তিনি। পরে পুলিশ তাকে হেফাজতে নেয়। শুক্রবার (১ আগস্ট) হারুনকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
আটক হারুন খান ওই গ্রামের মৃত ইসহাক খানের ছেলে। তিনি নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন বিএনপির অর্থবিষয়ক সম্পাদক এবং শাখারীগাতি এমএল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সদস্য।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে হারুন খান প্রতিবেশী এক প্রবাসীর স্ত্রীর ঘরে প্রবেশ করেন। বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হলে এলাকাবাসী ঘেরাও করে তাকে আপত্তিকর অবস্থায় হাতেনাতে ধরে ফেলেন। এরপর উত্তেজিত জনতা তাকে গণধোলাই দেয়।
খবর পেয়ে নরেন্দ্রপুর পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে হারুন খানকে আটক করে থানায় হস্তান্তর করেন।
এ ঘটনার পর পুরো এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। রাজনৈতিক মহলে বিষয়টি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে।
তবে আটক হারুন খান দাবি করেছেন, তিনি পাওনা টাকা আদায়ের জন্য সেখানে গিয়েছিলেন। তাকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে।
নরেন্দ্রপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই কবির হোসেন বলেন, ‘স্থানীয়দের হাতে আটক হওয়ার পর হারুন খানকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। ভুক্তভোগী পরিবার থানায় কোনো অভিযোগ না দেওয়ায়, দণ্ডবিধির ১৫১ ধারায় (শান্তিভঙ্গের আশঙ্কা) তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
আপনার মতামত লিখুন :