সোমবার, ০৬ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ৬, ২০২৫, ০৪:৩২ পিএম

পূজায় ১২০০ টনের বিপরীতে ভারতে গেল ১০৭ টন ইলিশ

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ৬, ২০২৫, ০৪:৩২ পিএম

ভারতে ইলিশ পাঠানো হয়। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

ভারতে ইলিশ পাঠানো হয়। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

এবারের দুর্গাপূজায় ১ হাজার ২০০ টনের মধ্যে ১০৭ টন ২২৬ কেজি ইলিশ ভারতে রপ্তানি হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের শর্ত অনুযায়ী রোববার (৫ অক্টোবর) ছিল ভারতে ইলিশ রপ্তারির শেষ দিন। দেশের ৩৭ জন অনুমতিপ্রাপ্ত রপ্তানিকারকের মধ্যে মাত্র ১৬ জন ইলিশ রপ্তানি করতে পেরেছেন।

এর মধ্যে বেনাপোল বন্দর দিয়ে রপ্তানি হয়েছে ১০৬ টন ৩৪ কেজি এবং আখাউড়া বন্দর দিয়ে ভারতে গেছে ১ হাজার ১৯২ কেজি। ব্যবসায়ীদের দাবি, ইলিশ উৎপাদনে ঘাটতি ও দামের ঊর্ধ্বগতির কারণে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি।

বাণিজ্য সংশ্লিষ্টরা জানান, ইলিশ আগে সাধারণ মাছের মতো রপ্তানির পণ্যের তালিকায় থাকলেও উৎপাদন ঘাটতির কথা বলে ২০১২ সাল থেকে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ করে দেয় সরকার। পরে ২০১৯ সালে বিশেষ বিবেচনায় শুধু দুর্গাপূজার সময় শর্তসাপেক্ষে এ অনুমতি দেওয়া হয়। এরপর থেকে প্রতি বছর দুর্গাপূজার আগে সীমিত পরিমাণে ইলিশ ভারতে রপ্তানি হচ্ছে।

এ বছর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গত ১৬ সেপ্টেম্বর ৩৭ জন রপ্তানিকারককে ১২০০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেয়। রপ্তানি শুরু হয় ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে এবং শেষ হয় ৫ অক্টোবর। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ২১ জন ব্যবসায়ী কোনো ইলিশ রপ্তানি করতে পারেননি।

এর আগে গত বছর ৪৯ জন রপ্তানিকারককে ২৪২০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তখন মাত্র ২৬টি প্রতিষ্ঠান ৫৩২ টন করেছিল।

মৎস্য দপ্তরের তথ্য বলছে, ২০২৩ সালে ৭৯ প্রতিষ্ঠানকে ৩৫০০ টন অনুমোদন দিলেও রপ্তানি হয়েছিল মাত্র ৬৩১.২৪ টন; ২০২২ সালে ৫৯ প্রতিষ্ঠানকে ২৯০০ টন অনুমতি দিয়ে ১৩০০ টন রপ্তানি হয়েছিল; ২০২১ সালে ১১৫ প্রতিষ্ঠানকে ৪৬০০ টন অনুমতি দিলেও রপ্তানি হয়েছিল ১৬৯৯ টন; ২০২০ সালে ১৪৫০ টন অনুমতি দিয়ে রপ্তানি হয়েছিল ৫০০ টন এবং ২০১৯ সালে ৫০০ টন অনুমতি দিয়ে রপ্তানি হয়েছিল ৪৭৬ টন।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের বন্দরবিষয়ক সম্পাদক মেহেরুল্লাহ বলেন, ‘সক্ষমতা যাচাই না করে যাদেরকে রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয় তাদের অনেকেই একটি মাছও রপ্তানি করতে পারেন না। অথচ তারাই পরের বছর আবার অনুমতি পেয়ে থাকেন। যারা এ অনুমতি নিয়ে মাছ রপ্তানি করতে ব্যর্থ, তাদের ভবিষ্যতে আর অনুমতি না দিলে রপ্তানিতে অনিয়ম কমে আসবে।’

সাধারণ মাছ ক্রেতা আজিজুর রহমান বলেন, ভারতে ইলিশ রপ্তানির সময় দেশের বাজারে দাম দ্বিগুণ বেড়ে যায়। তখন সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যায়। তাই রপ্তানি বন্ধ থাকলে দেশের বাজারে দাম কমতে পারে।

বেনাপোলের ইলিশ রপ্তানিকারক ‘বিশ্বাস ট্রেডার্স’-এর মালিক নুরুল আমিন বিশ্বাস বলেন, ‘আমি ৩০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি পেয়েছিলাম, কিন্তু এ বছর কোনো ইলিশ রপ্তানি করতে পারিনি। রপ্তানি দরের চেয়ে দেশের বাজারে ইলিশের দাম বেশি। এ ছাড়া ভারতের বাজারে নিজস্ব ইলিশ থাকায় সেখানে আমদানিকারকদের আগ্রহও ছিল না। কম সময়ের মধ্যে রপ্তানির সুযোগ থাকায় অনেকেই প্রস্তুতি নিতে পারেননি।’

বেনাপোল বন্দরের মৎস্য নিয়ন্ত্রণ ও মান নির্ণয় কেন্দ্রের পরিদর্শক আসাওয়াদুল ইসলাম জানান, শর্ত অনুযায়ী ৫ অক্টোবর ছিল ইলিশ রপ্তানির শেষ দিন। এ বছর বেনাপোল বন্দর দিয়ে ১০৬ টন ৩৪ কেজি ইলিশ ভারতে রপ্তানি হয়েছে। রপ্তানি ইলিশের ওজন ছিল প্রতিটা এক কেজি বা তার বেশি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রতি কেজির রপ্তানি মূল্য নির্ধারণ করেছিল ১২ ডলার ৫০ সেন্ট, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৫৩৫ টাকা।

Link copied!