ঢাকা সোমবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৫

ঝুঁকিপূর্ণ মাটির ঘরে পাঠদান, আতঙ্কে শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থী

কালাই (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: নভেম্বর ১০, ২০২৫, ০৬:৩১ পিএম
ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার দীঘিরহাট নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বৃষ্টির পানি ও বাতাস ঢুকে পড়ছে শ্রেণিকক্ষে। বাঁশের ঠেকনা দিয়ে টিকে আছে মাটির দেওয়াল। যেকোনো মুহূর্তে ধসে পড়তে পারে বিদ্যালয়ের অবকাঠামো। এমন ঝুঁকি ও আতঙ্কের মধ্যেই চলছে পাঠদান। শিক্ষকরা নিচ্ছেন ক্লাস, অভিভাবকরা রয়েছেন চরম উৎকণ্ঠায়।

জানা গেছে, দীঘিরহাট নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি স্থানীয় গণমানুষের আন্তরিক প্রচেষ্টায় ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। উদ্দেশ্য ছিল—এই প্রান্তিক এলাকার অবহেলিত জনগোষ্ঠীর শিক্ষার প্রসার, ঝরে পড়া রোধ, বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ এবং সচেতন সমাজ গঠন। পরবর্তীতে বিদ্যালয়টি ২০০০ সালে পাঠদানের অনুমতি পায় এবং নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ২০১৯ সালে এমপিওভুক্ত হয়।

বর্তমানে বিদ্যালয়ের অবকাঠামো অত্যন্ত নাজুক অবস্থায় রয়েছে। শ্রেণিকক্ষের মাটির দেওয়ালে বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। বাঁশ ও কাঠের ঠেকনা দিয়েই চলছে ভবনটি। এই অবস্থায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দাবি—সরকার যেন দ্রুত একটি নতুন ভবন নির্মাণসহ অবকাঠামোগত উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণ করে।

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুইটি আক্তার, আফরিন, হাসি আক্তার, বিথি, আরাফাত, মাজেদ, জান্নাতুন রিফা প্রমুখ জানান, বৃষ্টির সময় শ্রেণিকক্ষের ছাদ ও দেওয়াল দিয়ে পানি পড়ে এবং বাতাস ঢোকে। ফ্যানও যেকোনো সময় পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অন্য স্কুলে যাতায়াতের খরচ ও সময় বেশি হওয়ায় তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়েই এখানে ক্লাস করছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মরিয়ম বেগম বলেন, ‘আমাদের বিদ্যালয়ের মাটির দেওয়াল, কাঠ, বাঁশ ও টিনের কাঠামো এখন অত্যন্ত জরাজীর্ণ অবস্থায় আছে। যেকোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই সরকারের কাছে অনুরোধ করছি—দ্রুত আমাদের বিদ্যালয়ে একটি পাকা ভবন নির্মাণ করা হোক।’

কালাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শামিমা আক্তার জাহান বলেন, ‘দীঘিরহাট নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। আমি ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসক মহোদয়কে এ বিষয়ে অবহিত করেছি।’