ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৫

গত বছরের লোকসান তুলতে আলু চাষে ব্যস্ত পাঁচবিবির কৃষকরা

পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১১, ২০২৫, ১১:১৬ এএম
আলু চাষে ব্যস্ত কৃষকরা। ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

জয়পুরহাট জেলা দেশের আলু উৎপাদনের দ্বিতীয় সর্বচ্চ জেলা হিসাবে পরিচিত। সীমান্তবর্তী এ জেলার পাঁচবিবি উপজেলাও আলু উৎপাদনে এগিয়ে। গত বছর এ উপজেলায় প্রায় সাড়ে ৮ হাজার হেক্টর জমিতে আলুর চাষাবাদ হয়।

শুরুতে আলু দাম কাঙ্খিত থাকায় কৃষকরা ছিলো অনেকটা ফুরফুরে মেজাজে। তবে কিছু দিনের মধ্যেই আলুর দামে দরপতন হলে কৃষকের মাথায় হাত পড়ে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে আলু চাষীরা।

গত বছরের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চলতি মৌসুমে আমন ধান কাটা-মাড়াই শেষ করেই আলু চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। আলু চাষের জন্য জমি উপযোগী করতে শ্রমিকের সঙ্গে কৃষান-কৃষাণী সহ পরিবারের ছোট বড় সবাই কোমড় বেঁধে কাজ করছেন মাঠে।

কৃষকদের অভিযোগ আলু চাষে বীজ, সার ও কীটনাশকের কিছুটা দাম বেশি। আবার পর্যাপ্ত সার পাওয়া যাচ্ছে না বলেও অভিযোগ রয়েছে।

উপজেলার অংড় প্রামের আলু চাষী আমিনুল ইসলাম গত বছর ৮ একর জমিতে আলু চাষাবাদ করেছিলেন। কিন্তু মৌসুম শেষে প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।

তিনি জানান, গত বছরের ক্ষতি পূরণে এবার নিজের এবং অন্যের জমি লিজ নিয়ে আলু চাষ করেছেন। এরইমধ্যে আলু রোপণ প্রায় শেষের দিকে। ১৫-২০ জন শ্রমিক একসাথে জোট বেঁধে আলু রোপণের কাজ করছে।

কৃষি অফিসের পরামর্শ অনুযায়ী ডায়মন্ড, কার্ডিনাল, গ্রানুলা, সানসাইন, ভ্যালেনসিয়া, বারি আলু ৮৬, মিউজিকা, আটলান্টিক, লাল-সাদা পাকড়ী জাতের আলু রোপণ করছেন।

উপজেলার ধরঞ্জী গ্রামের আলু চাষী আজিজুল ইসলাম বলেন, এবছর ৭ বিঘা জমিতে বিভিন্ন জাতের আলু লাগিয়েছি। প্রতিবিঘা আলু রোপণের ক্ষেত্রে জমি চাষ সার, কীটনাশক, বীজ ও শ্রমিক খরচ সব মিলিয়ে প্রায় ৩০-৩৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। দাম ভাল থাকলে লাভবান হওয়া যাবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ জসিম উদ্দিন জানান, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় আলু রোপনের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮১০০ হেক্টর জমিতে।

উপজেলার চাষীরা তাদের জমিতে ডায়মন্ড, কার্ডিনাল, গ্রানুলা, এস্টারিক্স, সানসাইন, ভ্যালেনসিয়া, এ্যালুইট, কুইন এ্যানি, বারি আলু-৮৬, মিউজিকা, কারেজ, ফ্রেশ, আটলান্টিক, সূর্যমুখী, লাল পাকড়ী, সাদা পাকড়ী ও শীল বিলাতী ইত্যাদি জাতের আলু রোপণ করেছেন।