দীর্ঘদিন আকাশ ছোঁয়া দামের পর অবশেষে ঠাকুরগাঁওয়ে শীতকালীন সবজির দাম কমতে শুরু করেছে। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত এসব পণ্য দীর্ঘদিন ধরে দামের সীমা অতিক্রম করলেও, সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় দাম অনেকটা নিম্নমুখী হয়েছে।
দেরিতে হলেও সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে এসেছে এবং ভোক্তাদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। ঠাকুরগাঁও শহরের গোবিন্দনগর কাঁচামালের আড়তে বৃহস্পতিবার সকালে অন্যান্য দিনের তুলনায় খানিকটা কম দামে শীতকালীন সবজি কেনাবেচা হতে দেখা গেছে।
বেগুন, সীম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, গাজর, টমেটো ইত্যাদি সবজির দাম দীর্ঘদিন ধরে আকাশছোঁয়া ছিল। অবশেষে কাঁচা মরিচ ৩২ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
অন্যান্য সবজীর দামও কমেছে। ঢেপা বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি, লম্বা বেগুন ৪০ টাকা কেজি, ফুলকপি ২০ টাকা কেজি, বাঁধাকপি ২০ টাকা কেজি, লাউ ১০ টাকা প্রতি পিস, টমেটো ৫০ টাকা কেজি, শসা ৪০ টাকা কেজি, সীম ৪০ টাকা কেজি, মূলা ১০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
একাধিক ক্রেতা জানান, বেগুনের দাম অনেকদিন অস্থিতিশীল অবস্থায় ছিল। প্রতিকেজি বেগুনের দাম ৮০ টাকা পর্যন্ত গিয়ে পৌঁছেছিল। কাঁচামরিচের দামও আকাশছোঁয়া ছিল, যা এখন কমে ৩০-৩৫ টাকা কেজি হয়ে এসেছে। সাধারণ মানুষ এখন পছন্দের সবজি ক্রয় করতে পারছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মচারি নুরুল আলম বলেন, আমরা যে বেতন পাই তা দিয়ে পুরো মাস সংসার চালাতে হয়। কিন্তু পেয়াজের দাম বাড়তে থাকায় সংসার নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছি।
তবে পেয়াজের দাম এখনও অতিরিক্ত। দেশী পুরাতন পেঁয়াজ ১২০-১২৫ টাকা কেজি এবং দেশী নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজ ৮৫-৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
কাঁচামালের আড়তের চাইতে উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যায়ের হাটবাজারে পাইকাররা প্রতিটি সবজি কেজি প্রতি কমপক্ষে ১০-২০ টাকা বেশি দরে বিক্রি করছেন।
পেঁয়াজ ব্যবসায়ি জীবন রহমান বলেন, বর্তমানে ঠাকুরগাঁওয়ে পেঁয়াজের বাজার অস্থির। প্রতিদিন দাম পরিবর্তন হচ্ছে। হিলি দিয়ে ভারত থেকে এলসি পেঁয়াজ আসলেও এখনো ঠাকুরগাঁও আড়তে এক চটকও পেঁয়াজ আসেনি।
মাঝখানে পেঁয়াজ আমদানি সংক্রান্ত খবরে ধস নামে। ১২০ টাকায় পেঁয়াজ কিনে ১০০ টাকায় বিক্রি করতে গিয়ে একদিনে ৩৬ হাজার টাকা লোকসান হয়েছে।


