ভেনেজুয়েলার উপকূল থেকে একটি তেলবাহী ট্যাংকার জব্দ করেছে মার্কিন সেনারা। হোয়াইট হাউসে বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা নিশ্চিত করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এ সময় ট্রাম্প বলেন, ‘ভেনেজুয়েলার উপকূলে একটা ট্যাংকার জব্দ করা হয়েছে। বেশ বড় একটা ট্যাংকার...আসলে জব্দ করা ট্যাংকারগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় এটা। এ নিয়ে পরে আরও বিস্তারিত জানানো হবে।’
ভেনেজুয়েলার উপকূলে একটা ট্যাংকার জব্দ করা হয়েছে। বেশ বড় একটা ট্যাংকার...আসলে জব্দ করা ট্যাংকারগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় এটা। এ নিয়ে পরে আরও বিস্তারিত জানানো হবে।
- ডোনাল্ড ট্রাম্প
ট্যাংকার জব্দের পাশপাশি অন্য আরও কিছু ঘটছে বলেও জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ‘অন্যকিছুও হচ্ছে। আপনারা পরে এগুলো দেখতে পারবেন। এগুলো নিয়ে পরবর্তীতে আরও কিছু মানুষের সঙ্গে কথা হবে।’
এ ট্যাংকারে থাকা তেল যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের কাছে রেখে দেবে বলেও জানিয়েছেন ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি সামাজিকমাধ্যমে এক পোস্টে জানিয়েছেন, নিষেধাজ্ঞায় থাকা ভেনেজুয়েলা এবং ইরানের জ্বালানি সরবরাহ করায় ট্যাংকারটি জব্দ করা হয়েছে। তার প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, সেনারা হেলিকপ্টারে করে ট্যাংকারটিতে নামছেন।
সাম্প্রতিক সময়ে ক্যারিবীয় অঞ্চলে নিজেদের সামরিক অবস্থান ক্রমেই জোরদার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ভেনেজুয়েলা আর কলম্বিয়ার আন্তর্জাতিক জলসীমায় সন্দেহভাজন মাদক চোরাচালানের নৌযানগুলোর ওপর একাধিক হামলা চালিয়েছে তারা। এটাকে ‘মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ’ বলছে ওয়াশিংটন।
গত সেপ্টেম্বরের প্রথম ভাগ থেকে শুরু হওয়া এসব হামলায় এ পর্যন্ত ৮০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। ট্রাম্প প্রশাসন বলছে, তারা অবৈধ মাদক বহনকারী নৌযানগুলো ধ্বংস করে আত্মরক্ষার জন্য কাজ করছে।
তবে ভেনেজুয়েলা সরকারের অভিযোগ, প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকারকে উৎখাত করা ট্রাম্পের চূড়ান্ত লক্ষ্য। এ জন্য ক্রমেই সামরিকায়নের পথ বেছে নিচ্ছে ওয়াশিংটন।



