খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় সৃষ্ট বিক্ষোভ ও সহিংসতায় নিহত তিনজনের পরিচয় প্রকাশ করেছে পুলিশ। তিনজনই গুইমারা উপজেলার বাসিন্দা। তাদের বয়স ২০ থেকে ২২ বছরের মধ্যে।
নিহতরা হলেন সিন্দুকছড়ি ইউনিয়নের দেবলছড়ি চেয়ারম্যান পাড়ার আথুই মারমা (২১), হাফছড়ি ইউনিয়নের সাং চেং গুলিপাড়ার আথ্রাউ মারমা (২২) এবং রামসু বাজার বটতলার তৈইচিং মারমা (২০)।
নিহতদের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হওয়ার তথ্য দিয়ে চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপ-মহা পুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) আহসান হাবীব পলাশ বলেন, সহিংসতায় মোট ১০ জন আহত হন। এদের একজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বাকিদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ।
কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় স্থানীয় ‘জুম্ম ছাত্র-জনতা’-এর ব্যানারে ডাকা অবরোধের মধ্যেই রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিক্ষোভ ও সহিংসতায় রণক্ষেত্র পরিণত হয় খাগড়াছড়ির গুইমারার রামেসু বাজার।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে অবরোধকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে ছিল স্থানীয় একটি পক্ষ। এ সময় গুলিতে তিনজনের মৃত্যু হয়। তারা তিনজনই পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর। সেনাবাহিনীর মেজরসহ আহত হন অন্তত ২০ জন।
খাগড়াছড়ি সিভিল সার্জন ছাবের আহম্মেদ বলেন, রোববার থেকে আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত আহত ১৪ জনকে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এর মধ্যে ১৩ জন চিকিৎসাধীন, একজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের লাশও হাসপাতালে রয়েছে।
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল বলেন, সোমবার সকাল থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী টহলে রয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এদিকে আজ জুম্ম ছাত্র-জনতার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে জানানো হয়, দুপুর ১২টা থেকে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি ও ঢাকা-খাগড়াছড়ি সড়কে অবরোধ শিথিল করা হয়েছে। জানতে চাইলে জুম্ম ছাত্র-জনতার এক মুখপাত্র বলেন, আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা এবং নিহত ব্যক্তিদের সৎকারের সুবিধার্থে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত দুই সড়কে অবরোধ শিথিল থাকবে।