ঢাকা মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৫

খুলনা-১ আসন: জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় কৃষ্ণ নন্দী 

খুলনা ব্যুরো
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৫, ২০২৫, ০৭:২১ পিএম
ব্যবসায়ী কৃষ্ণ নন্দী

খুলনা অঞ্চলের রাজনৈতিক আলোচনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছেন ডুমুরিয়ার ব্যবসায়ী কৃষ্ণ নন্দী। জামায়াতে ইসলামীর নানা কর্মসূচিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ ও দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের পক্ষে প্রকাশ্যে প্রচারণার মাধ্যমে তিনি দ্রুতই আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়েছে—খুলনা-১ (দাকোপ–বটিয়াঘাটা) আসনে তিনি জামায়াতের মনোনয়ন পাচ্ছেন।

যদিও স্থানীয় জামায়াত নেতারা এ বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি, তবে কৃষ্ণ নন্দী নিজেই জানিয়েছেন তিনি মনোনয়নপ্রত্যাশী এবং দলের উচ্চপর্যায় থেকে ‘গ্রিন সিগন্যাল’ পেয়েছেন। তার দাবি, হাইকমান্ড তাকে মাঠে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে।

অন্যদিকে, খুলনা-৫ আসনে আগেই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার—যিনি ২০০১ সালে হিন্দু অধ্যুষিত এ আসন থেকেই নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার নির্বাচনি সভায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক হিন্দু নারী-পুরুষের উপস্থিতি নজর কাড়ছে, যেখানে কৃষ্ণ নন্দীকেও নিয়মিত দেখা যাচ্ছে বক্তৃতা করতে।

জামায়াতের স্থানীয় বেশ কিছু সূত্র জানিয়েছে, খুলনা-১ আসনটি হিন্দু অধ্যুষিত হওয়ায় দলের মধ্যে হিন্দু প্রার্থী দেওয়ার বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা চলছে। বিএনপি এখনো এ আসনে প্রার্থী ঘোষণা না করায় জোট রাজনীতির সম্ভাব্য সমীকরণও জামায়াতের পক্ষে সুযোগ তৈরি করতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। তবে এ এলাকায় জামায়াতপন্থি হিন্দু প্রার্থী না থাকায় ডুমুরিয়ার কৃষ্ণ নন্দীকে বিবেচনায় রাখা হচ্ছে—এমন গুঞ্জনেই সরগরম রাজনৈতিক অঙ্গন।

এ বিষয়ে খুলনা মহানগর জামায়াতের আমির অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেন, 'খুলনার ছয়টি আসনে আগেই প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। খুলনা-১-এ দাঁড়িপাল্লার প্রার্থী মাওলানা আবু ইউসুফ। নতুন করে কাউকে প্রার্থী করা হচ্ছে—এমন বার্তা আমরা পাইনি।'

কৃষ্ণ নন্দী পেশায় ব্যবসায়ী। চুকনগর বাণিজ্যিক এলাকায় তার একাধিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। অতীতে তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি নারায়ণ চন্দ্র চন্দের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তবে গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারের সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং জামায়াতের কার্যক্রমে সক্রিয় হয়ে ওঠেন।

সম্প্রতি এক সভায় তিনি দাবি করেন, 'আমি ২০০৭ সাল থেকেই জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। দমন-পীড়নের সময়ও নেতাকর্মীদের পাশে ছিলাম।'

খুলনা-১ আসনে তাকে প্রার্থী করা হবে কি না—চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখন দলীয় কেন্দ্রীয় পর্যায়ের ওপরই নির্ভর করছে।