কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে এক হৃদয়বিদারক ঘটনায় নিজের এক মাস বয়সী শিশু সন্তানকে বালতির পানিতে চাপা দিয়ে হত্যা করেছেন এক মা। অভিযুক্ত মায়ের নাম তাহমিনা আক্তার মুন্নী। নিহত শিশুর নাম নূর হাসান তোহা। সে উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ভাট্টা গ্রামের নূর মোহাম্মদের ছেলে।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে ওই গ্রামের নূর মোহাম্মদের বাড়িতে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের মতোই দুপুরে শিশুটি মায়ের সঙ্গে ছিল। কিছু সময় পর শিশুর বাবা নূর মোহাম্মদ বাড়িতে এসে দেখেন স্ত্রী তাহমিনা মাটিতে পড়ে আছেন। শিশুটিকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন তিনি। একপর্যায়ে তাহমিনা নিজেই ঘরের ভেতর থাকা একটি বালতির দিকে ইঙ্গিত করেন। পরে সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় শিশু তোহার নিথর দেহ।
স্থানীয়রা জানান, তাহমিনা আক্তার মুন্নী কিছুদিন ধরেই মানসিকভাবে অস্বাভাবিক আচরণ করছিলেন। পরিবার থেকে একাধিকবার তাকে কবিরাজি চিকিৎসাও দেওয়া হয়। ধারণা করা হচ্ছে, মানসিক ভারসাম্য হারিয়েই তিনি নিজের সন্তানকে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করেছেন।
ঘটনার পর পুলিশ শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
স্থানীয় ৮নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো. মোস্তফা বলেন, “মনে হচ্ছে শিশুর মা মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন। শিশুটির পিতা বালতির ভেতর থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছেন। বর্তমানে তাহমিনা অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।”
কটিয়াদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: তরিকুল ইসলাম দৈনিক রুপালী বাংলাদেশকে জানান, “সংবাদ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছি। ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতলে পাঠানো হয়েছে। শিশুর মা অসুস্থ থাকায় বর্তমানে পরিবারের জিম্মায় চিকিৎসা চলছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে; তদন্তের পর প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন